বুধবার তো ২.১ ওভারে আরসিবির স্কোর ছিল তিন উইকেট ১৭ রান। উমেশ যাদব ও টিম সাউদির দারুণ ছন্দ। প্রথম ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন উমেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও ছন্দ ধরে রাখেন। প্রথম ম্যাচের মতোই আরসিবির বিরুদ্ধে প্রথম ওভারেই উইকেট নেন। পরে আরসিবি বেশ সহজেই রান তুলছিল, তখন কৃপণ ওভার করেন। সব মিলিয়ে চার ওভারে ১৬ রানে দু'উইকেট নেন উমেশ।
advertisement
তাঁর সঙ্গী সাউদিও দুর্দান্ত বল করেছেন। নিজের প্রথম ওভারেই ফ্যাফ ডু'প্লেসিকে আউট করেন। ম্যাচের শেষের দিকে আরসিবির ছন্দে উমেশ কিছুটা ব্যাঘাত ঘটানোর পর আরও চাপ বাড়িয়ে তোলেন। ১৮ তম ওভারে সাউদির জোড়া উইকেটের কারণেই ম্যাচে প্রবলভাবে ফিরে আসে কেকেআর। সব মিলিয়ে চার ওভারে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন কিউয়ি তারকা।
নেট রানরেটে ধাক্কা না খাওয়া। অতীতে একাধিকবার প্রথমে ব্যাটিং করে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল কেকেআর। অথচ প্রতিপক্ষ দল অনায়াসে সেই রান তাড়া করে নিত। তার ফলে এমনভাবে নেট রানরেট কমে যেত যে টুর্নামেন্টের শেষের দিকে হা-হুতাশ করতে হত। বুধবার আরসিবির বিরুদ্ধে সেটাই হতে দেননি শ্রেয়স আইয়াররা। কম রানের পুঁজি নিয়েও প্রায় জিতে যাচ্ছিলেন।
শেষপর্যন্ত হেরে গেলেও শেষ ওভারে ম্যাচ গিয়েছিল। মাত্র তিন উইকেটে জিতেছে আরসিবি। তার ফলে একধাক্কায় ভয়ঙ্করভাবে পড়ে যায়নি কেকেআরের নেট রানরেট। সুনীল গাভাসকার, মুরলি কার্তিক নিশ্চিত উমেশ যাদব এবং টিম সাউদি জুটি এবার বাকি দলগুলোকে যথেষ্ট বেগ দেবে।
বিশেষ করে প্রথমদিকে উমেশ এবং ডেথ ওভারে সাউদি অসাধারণ বল করেছেন আরসিবির বিপক্ষে। প্যাট কামিন্স ফিরে এলে আরো শক্তি বাড়বে কেকেআরের।