এই দুই দলের লড়াই নতুন নয়। কেকেআর প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেন্নাইয়ের মাঠে চেন্নাইকে হারিয়ে। নাইটদের ব্যাটিংয়ের চেয়েও শক্তিশালী বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণ। দলে রয়েছেন তিন মিস্ট্রি স্পিনার- সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী ও রমেশ কুমার। সাউদির পাশাপাশি রয়েছেন উমেশ যাদব, শিবম মাভি, প্যাট কামিন্সরা। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে অলরাউন্ডার হিসেবে মহম্মদ নবি ও রাসেলও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।
advertisement
ফিট হয়ে কেকেআরের স্পিন আক্রমণকে ভরসা দেবেন বরুণ চক্রবর্তী। রমেশ কুমারকে আবার বাঁহাতি নারিন বলে ডাকা হয়। সব মিলিয়ে কম্বিনেশন অনুযায়ী বোলিং অপশন ঠিক করতে কোনও সমস্যাই হবে না কেকেআরের। অনুকূল রায় ও রমেশ কুমার সুযোগ পেলেই চমকে দিতে পারেন আসন্ন আইপিএলে। কেকেআরের হয়ে ওপেন করবেন নিশ্চিতভাবেই ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
অ্যারন ফিঞ্চ চলে এলে তিনিই আইয়ারের সঙ্গী হবেন। তবে তার আগে আইয়ারের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে অজিঙ্ক রাহানেকে। তিনে শ্রেয়স আইয়ার, চারে নীতীশ রানা নামবেন। পাঁচে নামতে পারেন শেল্ডন জ্যাকসন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল ফর্মে থাকা বাবা ইন্দ্রজিৎকেও দেখা যেতে পারে উইকেটকিপার হিসেবে প্রথম একাদশে।
টিম সাউদি আবার কেকেআর ফাইনালে উঠলে খেলতে পারবেন না। কারণ, জুনের শুরুতেই ইংল্যান্ডে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড। তবে প্রথম ম্যাচে নামার আগে মুখে স্বীকার না করলেও চেন্নাইকে হারিয়েই যাত্রা শুরু করা একমাত্র লক্ষ্য নাইটদের।
হলুদ জার্সিতে ধোনি, জাদেজা, ঋতুরাজ ছাড়াও ব্রাভো, মিলনে, কনওয়েদের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে নাইটদের। তবে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার জানিয়ে দিয়েছেন চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি কেকেআর। পরিসংখ্যান নিয়ে চিন্তিত নন তারা। সুযোগ পেলে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআরের পরিসংখ্যান বদলাতে চাইবেন নতুন অধিনায়ক।