শনিবার আইএসএল ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের জয়ের নায়ক বলেন, বড় ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েই হ্যাটট্রিক করেছি। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছি, এমন একটা ম্যাচে গোল করব। এত দ্রুত তা পূরণ হবে ভাবতে পারিনি। তবে খেলোয়াড়দের জীবনে প্রতিটি দিনই নতুন কিছু করার চ্যালেঞ্জ থাকে। ডার্বির হ্যাটট্রিক আপাতত অতীত। গোল করে দলকে জেতাতে চেয়েছিলাম। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এখন সব ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চাই।
advertisement
ডার্বি মন থেকে মুছে ফেলেছি। গোয়ার সবুজ-মেরুন শিবিরে দলের কনিষ্ঠতম সদস্যকে আগলে রেখেছেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। ডার্বি জয়ের পর কীভাবে সেলিব্রেট করলেন? প্রশ্ন শুনেই আকাশ থেকে পড়লেন কিয়ান! তাঁর স্পষ্ট উত্তর, সেলিব্রেট করার মতো তো কিছু হয়নি। শনিবার রাতে হোটেলে ফিরে ডিনার সেরেছি। তারপর ঘুমের দেশে।
আরও পড়ুন - CSK Unicorn status: প্রথম আইপিএল দল হিসেবে ক্রিকেটের বাইরে নতুন ইতিহাস সিএসকের! জানুন
রবিবার আমার কাছে আরও একটা নতুন দিন। মা’র সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বাবা জামশিদ নাসিরিই তাঁর জীবনের অন্যতম প্রেরণা। এই প্রসঙ্গে ২১ বছরের সবুজ-মেরুন তারকাটি বলেন, শুনেছি, ডার্বিতে একাধিক স্মরণীয় গোল রয়েছে বাবার। সেই মানুষটার সঙ্গে দিনের পর দিন ট্রেনিং করতে পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের। ফিটনেসের উপর বাবা বাড়তি জোর দেন। তবে উনি কখনওই লক্ষ্য স্থির করে দেননি। বরং বলতে শুনেছি, সুযোগ পেলে সেরাটা মেলে ধরার পরামর্শ।
এটাও বলেছেন, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। ডার্বির স্মরণীয় হ্যাটট্রিক কিয়ান উৎসর্গ করেছেন সতীর্থদের। তাঁর কথায়, ড্রেসিংরুমে আমাকে সবাই উৎসাহিত করে। তাই হ্যাটট্রিক উৎসর্গ করছি দলের বাকি সদস্যদের। তিনজন কোচের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। হুয়ান ফেরান্দো, আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ও ইয়ান ল।
শুনলাম, ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করে বাইচুং ভুটিয়া ও এডে চিডির রেকর্ডও স্পর্শ করেছি। এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। ওঁদের খেলা দেখেই বড় হয়েছি। আপাতত আমার লক্ষ্য, ভারতীয় দলের হয়ে খেলা। তার আগে এটিকে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করা। সুযোগ পেলে আবার নিজেদের প্রমাণ করব।