এবার মুখ খুললেন কপিল দেব (Kapil Dev on Virat vs Sourav Ganguly)। ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি ক্রিকেটার দুঃখ পেয়েছেন এই ঘটনায়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন যেটা হচ্ছে, সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়। দিনের শেষে এই ঠান্ডা লড়াই আর ঠান্ডা নেই। বিরাট কোহলি যেভাবে সকলের সামনে বোর্ডের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, সেটা মানতে পারছেন না ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার।
advertisement
অতীতেও অধিনায়কের সঙ্গে বোর্ডের বিভিন্ন ব্যাপারে মনকষাকষি হয়েছে। কিন্তু সেটা জনসমক্ষে আসেনি। কোন ভারতীয় অধিনায়ক বোর্ড প্রেসিডেন্ট (BCCI President) যা বলেছেন, তার বিপক্ষে মিডিয়ায় কথা বলেননি। এটা অলিখিত নীতি। একবার অতীতে মহিন্দর অমরনাথ নির্বাচকদের জোকার বলে শাস্তি ভোগ করেছিলেন। কপিল মনে করেন ভেতরে যাই থাক, সেটা কথা বলে মিটিয়ে ফেলা উচিত ছিল দুই পক্ষের। এতে ক্ষতি হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের।
বিশেষ করে সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর (India tour of South Africa)। যে দেশে কোনদিন টেস্ট সিরিজ জেতেনি ভারত। কপিল অনুরোধ করেছেন যাবতীয় ঝামেলা এবং দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ ভুলে গিয়ে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দিকে মনোনিবেশ করতে। কে ভুল, কে ঠিক, কে মিথ্যে কথা বলছে, সব আজ নয় কাল বেরিয়ে যাবে। কিন্তু ক্রিকেট থেমে থাকবে না। এই ঝামেলার প্রভাব দলের ওপর পড়তে বাধ্য।
কপিল মনে করেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট অবশ্যই বিরাট সম্মানের জায়গা। কিন্তু ভারত অধিনায়কের পদটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি জানেন না আসল ব্যাপার কি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের কথা ভাবা। দলের কথা ভাবা। ফোকাস নষ্ট হয়, এমন ব্যাপারে মাথা গলানো উচিত নয়। বোর্ডের সঙ্গে অধিনায়কের মতের অমিল হতেই পারে। কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত পর্যায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
মনে রাখতে হবে ভারতের ক্যাপ্টেন যেমন মাঠে নেমে পারফর্ম করেন দলকে জেতানোর জন্য, তেমনই বোর্ড প্রেসিডেন্ট যাবতীয় ব্যবস্থা এবং দেশের ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে কাজ করেন। সেই কাজ থেকে অর্থ লাভ হয় না তার। ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ থেকেই এই কাজ করেন বোর্ড সভাপতি। তাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি শেষ হোক, চাইছেন কপিল।