আরও পড়ুন - Hardik Pandya : ফিট থাকলে আমাকে এবার আটকানো কঠিন ! হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন হার্দিক
ওরিগনে অনুষ্ঠিত মহিলাদের ১০০ মিটারে সেরা ৩৫ বছর বয়সি জামাইকার এই অ্যাথলিট। এই সাফল্যের রহস্য কী? শেলি বলছেন, আমি পেশাদার অ্যাথলিট। চ্যালেঞ্জ সবসময় উপভোগ করি। এই কারণেই ৩৫ বছর বয়সেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। অনেকে আমার বয়স নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন।
advertisement
সন্তান হওয়ার পর নাকি ট্র্যাকে নামা যায় না। সবাইকে ভুল প্রমাণ করেছি। গ্যালারি থেকেই আমার দৌড় উপভোগ করেছে সন্তান ও স্বামী। ওদের সামনে এমন সাফল্য এক অন্যরকম অনূভূতি! উল্লেখ্য, ১০.৬৭ সেকেন্ডে তিনি দৌড় শেষ করেছেন। এই প্রসঙ্গে শেলি বলছেন, আমি আরও দ্রুত দৌড়নোর ক্ষমতা রাখি। দক্ষতার উপর ভরসা রয়েছে। দেশকে আমার এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।
শেলি মনে করেন সন্তান হওয়ার পর মেয়েরা পেশাদার খেলা খেলতে পারে না এই ভাবনাটাই পুরনো। বিশ্ব ছড়িয়ে থাকা মহিলা ক্রীড়াবিদদের কাছে সত্যিই নতুন উদাহরণ তিনি। উসেইন বোল্টের দেশের এই কিংবদন্তি মহিলা অ্যাথলিট গর্বিত দেশীয় সহ অ্যাথলিটদের নিয়ে। মহিলাদের ১০০ মিটার প্রথম তিনটি পদকই এসেছে জামাইকার ঝুলিতে।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে প্রথমবার এমন সাফল্য পেয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশটি। যেভাবে পুরুষদের ১০০ মিটারে সেরা তিনটি পদকই পেয়েছেন আমেরিকার অ্যাথলিটরা। মহিলাদের ইভেন্টে রুপো ও ব্রোঞ্জ যথাক্রমে শেরিকা জ্যাকসন (১০.৭৩ সেকেন্ড) ও টম্পসন হেরা (১০.৮১ সেকেন্ড)।
টোকিও ওলিম্পিকসেও সোনা না জেতার আক্ষেপ বিশ্ব মিটে মিটিয়ে নিলেন শেলি। তবে বেজিং ও লন্ডন ওলিম্পিকসে দ্রুততমার সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে শেলির মোট পদক সংখ্যা পাঁচ। আরো অন্তত কয়েকটা বছর এভাবেই চালিয়ে যেতে চান সুপার মম শেলি।