TRENDING:

৪৭–এ সচিন! দেখে নিন স্পিনের জাদুতে কীভাবে বারবার তাক লাগিয়েছেন তিনি ‌

Last Updated:

৪৭ বছরের জন্মদিন পালন করছেন মাস্টার ব্লাস্টার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#‌মুম্বই: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোখার তাগিদে চারিদিকে এখন লকডাউন। আর তার মধ্যেই ৪৭ বছরের জন্মদিন পালন করছেন মাস্টার ব্লাস্টার। বাড়িতে থেকে, স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে। কারণ, এবারে বাইরে বেরনো একেবারে মানা।
advertisement

কী করছেন তিনি?‌ ‘‌রান্না, ঘর পরিস্কার, গাছে জল দেওয়া সবই করছি। এই লকডাউনের ফলে ছেলে, মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর অনেকটা সুযোগ পেয়েছি। ওদের ২০ বছর বয়স হল, বাড়িতে থাকতে চাইছে না সবসময়। মাঝে মাঝে সন্ধ্যেবেলা ওরা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে যেত। ওটা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই ওদের মন খারাপ। তবে আমি আর আমার স্ত্রী (‌অঞ্জলি)‌

advertisement

অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটাতে পারছি। মাকেও সময় দিতে পারছি অনেক’ বললেন সচিন।‌

কোভিডে আক্রান্ত দেশ ও পৃথিবী!‌ সচিন বলছেন, এটাই সময় সর্বশক্তি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছি আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও। সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা, যা এতদিন আমার মধ্যে জমে ছিল।’‌

বোলিং এন্ডের উইকেটের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া তাঁর স্ট্রেট ড্রাইভ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কিন্তু আজ তাঁর জন্মদিনে আসুন দেখেনি অন্য এক সচিনকে। যাঁর বোলিংয়ের দাপটে একদিন ভারত অনেক আচ্ছা–আচ্ছা দলের ঘাম ছুটিয়েছে।

advertisement

ওয়ান ডে

• মনে পড়ে ১৯৯৩ সালের হিরো কাপ সেমিফাইনালের কথা। মাত্র ১৯৫ রান ঝুলিতে নিয়ে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেঁধে রেখেছিল ১৯৩ রানে। শেষ ওভার বল করেছিলেন সচিন। স্মৃতি হাতড়ে বলছেন, ‘‌আমি ডোনাল্ডকে আস্তে বল করতে চেয়েছিলাম। ও মারবে না আমি জানতাম। ম্যাকমিলান ছিল ওদের ব্যাটসম্যান। ওকেই জেতাতে হত ম্যাচ। শেষ ওভার, নভম্বরের রাতে কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত। সত্যি, সেদিন বল করা খুব একটা সহজ ছিল না।’‌

advertisement

• ১৯৯৮ সালে কোচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ম্যাচে সচিনের ঝুলিতে এসেছিল পাঁচ উইকেট। ৩১০ রান তাড়া করতে গিয়ে একসময় ভারতকে চিন্তায় ফেলে অজি শিবির। কিন্তু ম্যাচ ঘুরিয়েছিলেন সচিন। নিজের ম্যাজিকাল লেগ স্পিনে সেদিন ঘাতক মাইকেল বিভানের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

• ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবারও পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। জিতিয়ে এনেছিলেন একদিনের সিরিজ, ২৮২ রান করেছিল ভারত, জিতেছিল ৮৭ রানে। রাউন্ড দ্যা স্টাম্প বোলিং করেছিলেন তিনি। লেগ স্পিনে সেদিন চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

advertisement

টেস্ট

• ২০০৩ সালের অ্যাডিলেড টেস্টের কথা সবার মনে থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ ওয়ার উইকেট সেদিন নিয়েছিলে সচিন। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৯৬ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই টেস্টে জয় পেয়েছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে মার্টিন আর স্টিভ ওয়ার মধ্যে জমে যাওয়া পার্টনারশিপ ভেঙেছিলেন সচিন।

• ২০০৪ সালে মুলতান। ভারত পাক টেস্ট। বীরেন্দ্র শেহবাগের অসাধারণ ইনিংসের কথা সকলেরই মনে থাকবে। কিন্তু সেদিন এক অসাধারণ গুগলিতে পাক উইকেট কিপার মইন খানের উইকেট নিয়েছিলেন সচিন। সে কথাও যেন এখনও চোখে ভাসে মাস্টার ব্লাস্টারের।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চোখের নিমেষে উধাও সাত কুইন্টাল দই! কেজি মাত্র ১১০ টাকা,ভাইফোঁটায় উপচে পড়া ভিড় এই দোকানে
আরও দেখুন

• টেস্টে সচিনের বোলিংয়ের কথা বললেই আবারও আসবে কলকাতার নাম। ২০০১ সালে কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া ঐতিহাসিক টেস্টে লক্ষণ, রাহুল দ্রাবিড় বা হরভজন সিংয়ের নাম সকলেরই মনে থাকবে। কিন্তু সেদিন সচিনের ঝুলিতেও এসেছিল তিনটি উইকেট। হেডেন, অ্যাডাম গিলখ্রিস্ট আর শেন ওয়ার্নকে আউট করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
৪৭–এ সচিন! দেখে নিন স্পিনের জাদুতে কীভাবে বারবার তাক লাগিয়েছেন তিনি ‌
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল