এস সি ইস্টবেঙ্গল - ৪
#গোয়া: ডার্বিতে সম্মানের লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর, শুধু ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের সমালোচনা হয়নি। ৩-৪-৩ ফর্মেশন এ দল নামানোর জন্য স্প্যানিশ কোচ ম্যানুয়াল ডিয়াজও বিদ্ধ হয়েছিলেন। আজ ওড়িশার (SC East Bengal vs Odisha FC) বিরুদ্ধে ভুল শুধরে নিয়ে ৪-৪-২ (4-4-2) ছকে দল নামালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। প্রথম থেকে বলের দখল নিজেদের পায়ে রেখে খেলছিল লাল হলুদ। ১৩ মিনিটে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। রাজুর ছোঁড়া বল বক্সে এলে, ডিফেন্ডারদের মাথায় লেগে পড়ে ১৮ গজ বক্সের ভেতর। ডাচ ফুটবলার ড্যারেন সিডল (Darren Sidoel) দুরন্ত ভলি করে গোল করে গেলেন।
advertisement
এদিন প্রথম থেকেই মিডফিল্ডে স্লোভেনিয়ার আমির দেরিসেভিচকে রেখেছিলেন ডিয়াজ। দীর্ঘদেহী বাপায়ের এই ফুটবলার বলটা ধরে খেলার চেষ্টা করলেন। তাকে সাহায্য করেছিলেন রফিক এবং বিকাশ জাইরু। ডানদিক থেকে মহেশ সিং আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওড়িশা খেলা ধরতে পারছিল না। কিন্তু সবকিছু বদলে গেল ৩৩ মিনিটে। জাভির ফ্রিকিক থেকে হেডে ওড়িশাকে সমতায় ফেরান হেক্টর রদাস(Hector Rodas)। তাকে মার্ক করার কেউ ছিল না।
ছয় মিনিট পর আবার গোল। ওড়িশাকে এগিয়ে দিলেন সেই হেক্টর। জাভির কর্নার থেকে রাজুকে কভার করে দুরন্ত হেড সেই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। বিরতির দু মিনিট আগে জাভি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে তিন গোলে এগিয়ে যেতে পারত ওড়িশা। কিন্তু কর্নার থেকে সরাসরি গোল করে জাভি নিজের পাপস্খলন করলেন। ম্যাচটা এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে ১-৩ গোলে পিছিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটে পরিবর্ত নিল ইস্টবেঙ্গল। চিমা, টমিস্লাভ এবং অমরজিৎ নামলেন।
অন্যদিকে জাভিকে (Javi Hernandez) তুলে নিয়ে আরিদায়িকে নিয়ে এল ওড়িশা। ৭০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ ফ্রিকিক মেরে ৪-১ করে দিলেন আরিদায়ি। ডাগআউটে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার ডিয়াজকে তখন দেখে মনে হচ্ছে অন্তঃসারশূন্য। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ৮০ মিনিটে রফিকের ক্রস সেকে হেডে গোল করে গেলেন হাওকিপ। কিছুটা লজ্জা কমল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু এক মিনিট পরেই আবার গোল করল ওড়িশা। আইজ্যাক দুরন্ত শটে পরাস্ত করলেন শুভম সেনকে।
৯০ মিনিটের মাথায় বিকাশের কর্নার থেকে বুকে বল নামিয়ে শটে গোল করলেন চিমা (Daniel Chima Chukwu)। এক মিনিট পর আবার পেনাল্টি আদায় করলেন চিমা। গোল করতে ভুল করলেন না নাইজেরিয়ান তারকা। একাই ম্যাচের রং ঘুরিয়ে দিলেন চিমা। তার পূর্বসূরীর নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করলেন। কিন্তু আবার গোল ওড়িশার আরিদায়ির। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৬-৪ গোলে জিতল ওড়িশা।