ম্যাচের প্রথম থেকে শুরুটা খারাপ করেনি ইস্টবেঙ্গল। বিশেষ করে মিডফিল্ড অঞ্চলে আমির দেরভিসিভিচ, রফিক বলটা ধরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু অমরজিৎ পারছিলেন না। মিনিট ১৫ পর থেকে অবশ্য দাপট দেখাতে শুরু করল চেন্নাই। অনিরুদ্ধ থাপা, চাংতে দুই ভারতীয় প্রচুর দৌড়ালেন। তার সঙ্গে কিরগিস্তানের মুরজায়ভ এবং হাঙ্গেরির কোম্যান পরপর দখল করতে লাগলেন বল।
advertisement
ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে লড়াই করলেন হীরা মণ্ডল, চিমা (Daniel Chima)। দ্বিতীয়ার্ধে লাল হলুদ কোচ নিয়ে এলেন আদিল খানকে। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হল না। চেন্নাই একের পর এক আক্রমণ তুলে আনল। শুধু বক্সের ভেতর কোয়ালিটি স্ট্রাইকার না থাকায় গোল পেল না তারা। পেরসেভিচ নামলেন সিডলের পরিবর্তে। অমরজিৎকে তুলে নামানো হল বিকাশ জাইরুকে।
৭০ মিনিটের মাথায় একটা গোলের সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। চিমা কয়েক সেকেন্ড দেরি করে ফেলায় গোল পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ৭৪ মিনিটে আবার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দেরভিসিভিচ দুরন্ত ফ্রি কিক থেকে রাজুর হেড নিশানায় থাকেনি। সুযোগ পেয়েছিলেন রফিক। কিন্তু শট নিতে দেরি করায় গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
অন্যদিকে শেষ ১০ মিনিটে জবি জাস্টিনকে নামিয়ে গোল করার চেষ্টা করে চেন্নাইন। কিন্তু পুরনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এর বিরুদ্ধে কিছু করে উঠতে পারেননি কেরলের স্ট্রাইকার। এদিন ইস্টবেঙ্গল এর সেরা খেলোয়াড় ছিলেন বৈদ্যবাটির হীরা মণ্ডল। ম্যাচের সেরাও তিনি।
তবে অতিরিক্ত সময় চেন্নাইয়ের চাংতে সহজ সুযোগ না হারালে ম্যাচের ভাগ্য হয়তো দক্ষিণের দলের পক্ষেই যেত। তবে শেষ মিনিটে চাপ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। কর্নার এবং ফ্রিকিক আদায় করে নিতে থাকে তারা। ভাগ্য সহায় হলে হয়তো একটা গোল পেলেও পেতে পারত।