আরসিবির জয় কেকেআরের কাছে বড় ধাক্কা এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেকেআরের প্লে অফে যাওয়ার যেটুকু আশা ছিল তা আরও ক্ষীণ ও জটিল হয়েছে সে বিষয়তেও কোনও সন্দেহ নেই। তবে একেবারেই যে নাইটদের প্লে অফে ওঠার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল, তেমনটা নয়। অন্ধকারের মধ্যে এখনও আলোর বিন্দু রয়েছে। তারজন্য প্রথম শর্ত হল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খুব বড় ব্যবধানে জিতে ১৪ পয়েন্টে পৌছতে হবে ও রানরেট ভালো করতে হবে।
advertisement
নিজেদের ম্যাচ জেতার পর কেকেআরকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ম্যাচের ফলাফলের দিকে। শুক্রবার পঞ্জাব কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালের ম্যাচ রয়েছে। রাজস্থান ও পঞ্জাব দুই দলেরই ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। সঞ্জদের রানরেট +০.১৪০ ও শিখরদের রানরেট -০.৩০৮। ফলে এই ম্যাচ পঞ্জাব কিংস জিতলে কেকেআরের খানিকটা সুবিধা হবে। কারণ রাজস্থানের রানরেট কেকেআরের থেকে ভালো। তবে পঞ্জাবকে জিততে হবে খুবই কম ব্যবধানে যাতে রানরেট খুব না বাড়ে।
অপরদিকে, বর্তমানে ১৩ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে ১৪ পয়েন্টে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নেট রান রেট -০.১২৮। রোহিত-সূর্যদের শেষ ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। ফলে শেষ ম্যাচ বড় ব্যবধানে হারতে হবে মুম্বইকে। যাতে রানরেট কেকেআরের নীচে নেমে আসে। আরসিবি হায়দাবাদকে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে হারানোর পর ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট তাদেরও। নেট রান রেট +০.১৮০। আরসিবির শেষ ম্যাচ ঘরের মাঠে গজরাতের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে আরসিবিকে বড় ব্যবধানে হারতে হবে। যাতে রানরেট অনেকটা নীচে নেমে আসে।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli Century: আইপিএলে সেঞ্চুরির সিংহাসনে কিং কোহলি, ১০০ রানের বিরাট ইনিংসে বেঁচে থাকল আরসিবি
এবার যদি আমরা কেকেআরের অবস্থা দেখি ১৩ ম্যাচে ৬ জয় ১২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে নাইটরা। কেকেআরের নেট রান রেট -০.২৫৬। ফলে শেষ ম্যাচে লখনউয়ের বিরুদ্ধে রান চেজ করাই ভালো অপশন হবে কেকেআরের। তাতে কত ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করতে পারলে রানরেট ভালো হবে সেই হিসেবটা পরিষ্কার পাওয়া যাবে। আর তা না হলে যতটা সম্ভব কম রানের মধ্যে অলআউট করতে হবে লখনউকে। এই সকল সমীকরণ মিললেই প্লে অফের দরজা খুলতে পারে কেকেআরের।