ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। ওপেনিং জুটিতে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন ট্রেভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। পাওয়ার প্লেতেই দলের স্কোর ৯০ ঘরে পৌছে দেন দুজন। অভিষেক শর্মা ৩২ করে আউট হলেও ট্রেভিস হেড ও হেনরিক ক্লাসেন মিলে জারি রাখেন মারকাটারি ব্যাটিং। হাফ সেঞ্চুরি করেন হেড। ৪০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন হেড।
advertisement
তবে রেহাই পায়নি কেকেআর বোলাররা। রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন হেনরিক ক্লাসেন। একের পর এক চার-ছয় হাঁকান তিনি। ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ক্লাসেন। ৩৯ বলে ১০৫ করে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন। ২৯ রানের ইনিংস খেলেন ইশান কিশান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করে হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সবথেকে বড় স্কোর। এক থেকে চার সবকটি স্কোরই সানরাইজার্সের।
২৭৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় কেকেআর। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সুনীল নারিনের ১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস ছাড়া কেকেআরের টপ অর্ডারের প্রায় সব ব্যাটারই ব্যর্থ হন। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উল্টে আরও হায়দ্রাবাদ বোলারদের উইকেট উপহার দিয়ে আসে কেকেআক ব্যাটাররা।
আরও পড়ুন: MS Dhoni: পরের আইপিএলে আর খেলবেন না ধোনি? শেষ ম্যাচের পর বড় আপডেট দিলেন মাহি
একটা সময় কেকেআরের স্কোর ছিল ১১০ রানে ৭ উইকেট। লজ্জাজনক হারের প্রহর গুনছিল নাইটরা। সেখান থেকে কিছুটা লড়াই করেন মনীশ পান্ডে ও হর্ষিত রানা। মারকাটারি ব্যাটিং করে ৫২ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। ৩৭ রান করেন মনীশ পান্ডে। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন হর্ষিত রানা।