আন্দ্রে রাসেল: কেকেআরের আইপিএল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার আন্দ্রে রাসেল। নাইটদের বহু যুদ্ধ জয়ের নায়ক এই ক্যারিবিয়ান বিগ হিটার। কিন্তু বিগত কয়েক মরসুমে নিজের চেনা ছন্দে নেই রাসেল। এবার তো একেবারেই ফর্মে ছিলেন না দ্রে রাস। এবার ব্যাট হাতে ২০.৬৪ গড়ে রাসেল করেছেন ২২৭ রান। সর্বোচ্চ ৪২। স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৫১। বল হাতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। রাসেল মোহ কাটিয়ে ও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আগামি মরশুমে কোপ পড়তে পারে ক্যারিবিয়ান তারকার উপর।
advertisement
সুনীল নারিন: কেকেরআরে দুবার আইপিএল জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান মিস্ট্রি স্পিনার সুনীল নারিন। কিন্তু একাধিক বর অ্যাকশন পরিবর্তন ও বয়সের ভারে সেই বোলিং আর নেই নারিনের। এবার ১৪টি ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন ১১টি। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৭.৯৭ রান। ব্যাটিংয়ে করেছেন ২১ রান। ফলে বাদে খাতায় নাম থাকতে পারে নারিনেরও।
লকি ফার্গুসন: পেস অ্যাটাককে শক্তিশালী করার জন্য ১০ কোটি টাকা দিয়ে দলে ফেরানো হয়েছিল কিউই পেসার লকি ফার্গুসনকে। কিন্তু চোটের কারণে পুরো মরসুমে ৩টি ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি। তাও পারফরম্যান্স তেমন আহামরি নয়। কেকেআরের হয়ে ৩টি ম্যাচ খেলে পেয়েছেন মাত্র ১টি উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১২.৫২। ফলে পরের মরসুমে অন্য কোনও বিদেশী পেসার নেওয়ার পথে হাঁটতে পারে কেকেআর।
শার্দুল ঠাকুর: ১০.৭৫ কোটি দিয়ে শার্দুল ঠাকুরকে দলে নেওয়া হয়েছিল। তালিকায় নাম রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার শার্দুল ঠাকুরও। যদিও তাঁর বাদ পড়ার সম্ভাবনা একটু কম। তবে হতাশ করেছেন তিনিও। সিনিয়র প্লেয়ার হওয়া সত্ত্বেও কেকেআর একাদশে অনিয়মিত ছিলেন শার্দূল ঠাকুর। ব্যাটিংয়ে ১১ ম্যাচে ১১৩ রান করেছেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ইডেনে আরসিবির বিরুদ্ধে ৬৮ রানের ইনিংস। এছাড়া বোলিংয়ে নিয়েছেন মাত্র ৭ উইকেট। এত টাকায় অন্য ভালো অলরাউন্ডার পেতেই পারে কেকেআর।
টিম সাউদি: বাদের তালিকায় থাকতে পারে আরও এক কিউই পেসার টিম সাউদি। ২ ম্যাচ খেলে ৬ ওভার বল করে ২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওভার প্রতি খরচ করেছেন ১৩.১৬ রান।। বয়সও তার ৩৪ পেরিয়েছে। ফলে সেই জায়গায় নতুন কাওকে নেওয়ার কথা ভাবতেই পারে কেকেআর।
এন জগদীশান: ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করার সুবাদে এবার এনেক আশা করে উইকেটকিপার ব্যাটার এন জগদীশানকে দলে নিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু তিনিও হতাশ করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। ৬ ম্যাচে খেলে করেছেন মাত্র ৮৯ রান। সর্বোচ্চ স্কোর ৩৬। ফলে তাঁর উপর ভরসা হারাতে পারে কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজি।
লিটন দাস: বাদের তালিকায় পড়তে পারে বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাচার লিটন দাসও। মরসুমে একটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৪ রান করেন। উইকেটের পিছনেও খুব একটা নজর কাড়তে পারেননি লিটন। ফলে আগামি মরসুমে লিটনের গায়ে আর নাও উঠতে পারে কেকেআরের জার্সি।
কুলবন্ত খেজরোলিয়া: এই বাঁ হাতি মিডিয়াম পেসারাও নিজের পারফরম্যান্সে দাগ কাটতে পারেনি। ২ ম্যাচ সুযোগ পেয়েছিলেন। ২ ম্যাচে ৪ ওভার ২ বল বোলিং করে খরচ করেছেন ৬৪ রান। নিয়েছেন দুটি উইকেট। ফলে তার জায়গায় আগামি মরসুমে অন্য কোনও তরুণ ভারতীয় পেসার নিতে পারে কেকেআর।
আরও পড়ুনঃ Dhoni vs Jadeja: প্লে অফের আগে ধোনি-জাদেজার ঝামেলা! একটি ভিডিও ও জাড্ডুর ট্যুইট উস্কে দিচ্ছে জল্পনা
মনদীপ সিং: দল ও ফ্যানেদের হতাশ করেছেন মনদীপ সিংও। আশা করে দলে নিলেও একেবারেই ভালো পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। ৩টি ম্যাচ খেলে ১৪ রান করেছেন তিনি। ফলে আগামি মরসুমে তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli Injury: বিরাট কোহলির চোট, বাদ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে থেকে? এল বড় আপডেট
ডেভিড উইজা: এই বিদেশী পেসার অলরাউন্ডারও পুরো মরসুমে ৩টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন। ব্যাট হাতে করেছেন ২১ রান, আর বোলিংয়ে কোনও উইকেট নিতে পারেননি। ফলে সেই জায়গায় আগামি মরসুমে কোনও তরুণ বিদেশী অলরাউন্ডার নিতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স।