যদিও বিসিসিআই কর্তারা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি। তবে একপ্রকার নিশ্চিত গ্রুপের ম্যাচ মহারাষ্ট্রে আয়োজিত হলেও নকআউট ম্যাচ অন্য রাজ্যে হবে। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় অন্য রাজ্যে ম্যাচ আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর বোর্ড কর্তারা। এতদিন পর্যন্ত দুটি জায়গার নাম এগিয়ে ছিল ম্যাচ আয়োজন করার ব্যাপারে। আহমেদাবাদ এবং কলকাতার নাম সবার উপরে ছিল। বোর্ডের সূত্রে শোনা যাচ্ছিল, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শহর কলকাতায় প্লে-অফের একটি কোয়ালিফায়ার এবং এলিমিনেটর ম্যাচ আয়োজন হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ৭০ টাকা বিনিয়োগ করে লাখপতি, মিলবে সুদের উপর সুদ, দেখুন কীভাবে!
অন্যদিকে ফাইনাল এবং একটি কোয়ালিফায়ার আয়োজন হবে বোর্ড সচিব জয় শাহের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। সিএবি কর্তারাও আশাবাদী ছিলেন ম্যাচ আয়োজন করার ব্যাপারে। এমনকি অনেক কর্তারা দাবি করেন, ফাইনাল ছাড়া বাকি তিনটি ম্যাচে ইডেনে আয়োজন হবে। তবে সোমবার বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে অন্য একটি খবর উঠে আসছে। কলকাতা নয়, লখনউতে হতে পারে প্লে অফের ম্যাচ। দুটি শহরে প্লে-অফের ম্যাচ ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে আহমেদাবাদে যে ফাইনাল হবে তাই একপ্রকার নিশ্চিত। বোর্ড সূত্রে খবর, সংখ্যাগরিষ্ঠ বোর্ড কর্তারা চাইছেন আইপিএলের নতুন ২ ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ এবং গুজরাতে প্লে অফের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হোক। নতুন দুই জায়গায় ম্যাচ আয়োজিত হল দর্শকে উৎসাহ আরও বেশি পরিমাণে বাড়বে। নতুন ২ দলের সুযোগ পাওয়া উচিত ম্যাচ আয়োজন করার ব্যাপারে। তবে প্রবলভাবে এই দুই জায়গার নাম উঠে আসলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি বিসিসিআই।
আরও পড়ুন: সিঙ্গল বেঞ্চের লাগাতার 'বিস্ফোরণ', সরে দাঁড়াল ডিভিশন বেঞ্চ! হাই কোর্টে বেনজির ঘটনা
সিএবি কর্তারাও নিজেদের দাবি থেকে সরে আসতে নারাজ। ম্যাচ পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে সিএবি বলে দাবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা দিন কয়েকের মধ্যেই বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে বিসিসিআই। ভিন্ন রাজ্যে প্লে অফ আয়োজন করার ব্যাপারে বোর্ড কর্তাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে। করোনার কারণে ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকাটা বাধ্যতামূলক।
ফলে মহারাষ্ট্রের বাইরে প্লে-অফে দুটি জায়গায় নতুন করে বায়ো বাবেল তৈরি করতে হবে। ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলায়ের মধ্যে দিয়েই নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আয়োজিত হওয়া মহারাষ্ট্র থেকে দূরত্বটা একটা বিষয় হতে পারে। তাই সব কিছু ভাবনা চিন্তা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন বোর্ড কর্তারা। ২৯ মে ফাইনাল। প্লে-অফের দিন দ্রুত ঘোষণা করতে চান বোর্ড কর্তারা। তবে দেখার শেষ পর্যন্ত কলকাতা নাকি লখনউ শেষ হাসি হাসে ম্যাচ আয়োজন করার ব্যাপারে।