দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) জানিয়েছে আইপিএল (IPL 2021) চলাকালীন ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন না! গতবার তাঁর সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি, তাঁকে কোনও ম্যাচে খেলানোও হয়নি৷ তিনি জানিয়েছেন তাঁর খুব অবাক লাগত৷ তাঁর মনে হত তিনি ম্যাচ জেতাতে পারেন না৷ যখন অনেক অপশন থাকে তখন এরকমই হয়৷ কেকেআরের কাছে অনেক স্পিনার রয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন - Lifestyle : তারুণ্য ধরে রাখবে পঞ্চকর্মা থেরাপি, জেনে নিন এর আরও উপকারিতা
গত মরশুমেও আইপিএলে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন কুলদীপ যাদব, সেখানেও একটি মাত্র উইকেট পেয়েছিলেন চায়নাম্যান৷ এর আগে ২০১৯-র তাঁর মোটেই ভালো যায়নি৷ ৯ ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি৷ ইকনমি রেট ছিল ৯.৬৬৷
আরও পড়ুন - নির্মেদ শরীরে উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত, পরণে ধুতি Milind Soman-কে দেখে Malaika যা করলেন, Viral Video
এরপরেও কুলদীপ যাদব সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, ‘‘বিদেশি অধিনায়কের সঙ্গে খুব কম কথা হত৷ তাঁরা আপনাদের একদম বোঝেন না৷ ভারতীয় অধিনায়কের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা যায়৷ তাঁকে প্রশ্ন করতে পারেন, রোহিত শর্মার মতো অধিনায়ক হলে আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন আরও ভাল করতে কি করতে হবে , দলে আমার জায়গা কি?
কুলদীপ আরও বলেছেন, ‘‘গত বছর অবধি আমার বোলিং নিয়ে ভাবতাম আমার নিজের ওপর সন্দেহ হত৷ সবসময়েই আমি ভালো করার চেষ্টা করতাম৷ কখনও কখনও আপনি জানেন আপনার খেলা উচিত৷ আমার বাইরে বসা উচিত নয়, আপনি কারণ জানেন না কেন আপনি বেঞ্চে থাকছেন?
কুলদীপ আরও জানিয়েছেন, দলে ফেরা সবসময়েই খুবই মুশকিল হয়৷ এটা অভিষেক ম্যাচের চেয়েও কঠিন হয়৷ যখন আপনি নিয়মিত খেলেন তখন আপনার ওপর চাপ থাকে না৷ দলে ফেরার পর প্রতি ম্যাচেই উইকেট নাও চাপ থাকে৷ বাইরে বসে থাকা চাপের৷ স্পিনারদের ভাল পিচেও যখন চান্স পাওয়া যায় না তখন মনে হয় এখানে না হলে কোথায় সুযোগ পাওয়া যাবে
শ্রীলঙ্কা সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল মানছেন কুলদীপ যাদব৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ ভালো হয়নি৷ তিনি বলেছেন, ‘‘ মনে হচ্ছিল অভিষেক হচ্ছে৷ কিন্তু যাঁরা খেলছিল তাঁরাও ভাল পারফর্ম করছিল৷ কিন্তু আমি আমার অনুশীলনে মন দিয়েছিলাম৷ আমি সুযোগ পেলাম কিন্তু খুব বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পায়নি৷ শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আদে রাহুল স্যার বলেছিলেন সামনের কথা ভাবতে হবে না, যা হবে দেখা যাবে, এখন এই ম্যাচে মন দাও৷ যে প্ল্যান তৈরি হয়েছে তাতেই কাজ কর৷ সেখানে আমি খানিকটা আত্মবিশ্বাস পাই আর রাহুল দ্রাবিড়ের কথা শুনি৷