শালবনী থেকে সুদূর মায়ানমার, চাষির মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত জেলার মানুষ। আনন্দে আত্মহারা ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথম একাদশে মৌসুমির সুযোগ পাওয়ার প্রহর গুনছে শালবনী সহ জেলার মানুষ। জঙ্গলমহল থেকে বড় হয়ে ওঠা। পরিবারে খেলাধুলার চর্চা ছোট থেকে। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে তার ফুটবলের স্কিল শুরু। বাবা চাষবাস করে মা সামান্য গৃহবধূ এরপরও নিজের কৃতিত্বে চালিয়ে রেখেছিলেন খেলাধুলো।
advertisement
সম্প্রতি ৯ এবং ১২ জুলাই মায়ানমারে আয়োজিত ফিফা আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচে ভারতের হয়ে ২৪ জনের একটি দল গিয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে মৌসুমী। দলে মিডফিল্ডার হিসেবে তিনি তার কর্তৃত্ব দেখাবেন।পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের তিলখুলার বাসিন্দা মৌসুমী মুর্মু। প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকার কৃষক পরিবার।
বাবা সুজিত মূর্মূ একজন কৃষক, মা আর অতি সাধারণ গৃহবধূ। বাড়িতে মৌসুমীরা দুই বোন এবং এক ভাই। মৌসুমির দিদি মৌমিতা একসময় ফুটবল খেলেছে, দাদা সুব্রত বর্তমানে একাধিক দলে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ছোট থেকেই শখ ফুটবলের প্রতি। ফুটবল পায়ে শুরু তার লড়াই। বর্তমানে মৌসুমী শালবনি পুলিশ স্টেশনে সিভিক পদে কর্মরত। পাশাপাশি পড়াশোনা চলছে কলেজে।
মৌসুমীর বাড়িতে শুধু নয়, গোটা জেলা জুড়ে খুশির হাওয়া। দুদিন বিদেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় গোটা মাঠ দাপিয়ে বেড়াবে অন্যান্য ১১ জন খেলোয়াড়ের মত জেলার মৌসুমী। অভাবের সংসারে বড় হয়ে ওঠা। বর্তমানে মৌসুমী ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে কন্যাশ্রী কাপ খেলেছেন, শালবনীর এই মেয়ে এখন কলকাতার শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলেন। বাড়িতে ছোট থেকে খেলার পরিবেশ।। বাবাও একসময় ফুটবল খেলতেন।
মৌসুমী বলেন, ‘‘আমি আমার সবটুকু দিয়ে ভারতের হয়ে খেলব। এটা আমার এক স্বপ্ন সফল হতে চলেছে।’’ ছোট জীবনে নারায়ণ সিংহের হাত ধরে শালবনী জাগরণ ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে তার প্রস্তুতি শুরু। শালবনী জাগরণ ফুটবল একাডেমির সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলেন, জঙ্গলমহলে রয়েছে একাধিক প্রতিভা। প্রত্যেকের পায়ে পায়ে জড়িয়ে ফুটবলের নাম। তর্জুনা থেকে মৌসুমী একাধিক কৃতীরা জঙ্গলমহল থেকে গিয়ে দশের কাছে দেশের নাম উজ্জ্বল করছে। দুটি ম্যাচ খেলা হবে মায়ানমারে। সেখানে ভারতের জার্সিতে মাঠে নামবে সিভিক ভলেন্টিয়ার মৌসুমী। খুশির আবহাওয়া জেলা জুড়ে। বছর কুড়ির এই আদিবাসী কন্যার দিকে তাকিয়ে সকলে।
Ranjan Chanda