শ্রীজেশ হারিয়ে দেন স্পেন ও ইতালির প্রতিদ্বন্দ্বীকে। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলের ব্রোঞ্জ জয়ের পেছনে অন্যতম অবদান রয়েছে শ্রীজেশের। টোকিও অলিম্পিক্সে হকিতে ব্রোঞ্জ জয় পুরুষ হকি দলের। ৪১ বছর পর অলিম্পিক্স হকিতে পদক ভারতের। জার্মানিকে হারিয়েছিল ৫-৪ গোলে। পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত কামব্যাক করেছিল ভারতীয় হকি দল। গোলের নীচে শ্রীজেশ না থাকলে হয়তো ইতিহাস অধরাই থেকে যেত ভারতের।
advertisement
অবসরের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন পিআর শ্রীজেশ। এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় হকি দলের গোলরক্ষকটি বলেছেন, টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয় মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন লক্ষ্য বিশ্বকাপ পদক। সেটা পূরণ হলে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। ২০০৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় শ্রীজেশের। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি নজর কাড়েন।
বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। শ্রীজেশের বাড়ির ক্যাবিনেটে শোভা পাচ্ছে একাধিক আন্তর্জাতিক পদক। তবুও তিনি সন্তুষ্ট নন। আগামী বছর বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মুখিয়ে শ্রীজেশ। পাখির চোখ ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে। বিশ্ব গেমসের বর্ষসেরা অ্যাথলিটের পুরস্কারজয়ী শ্রীজেশের কথায়, অলিম্পিকে সোনা জয় আমার কাছে স্বপ্ন। তবে এখনও সময় রয়েছে আরও ভাল ফল করার।
২০২২ আমার কেরিয়ারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর। প্রো লিগ, কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসের মতো মেগা টুর্নামেন্ট রয়েছে। এশিয়ান গেমসে সেরা হতে পারলে প্যারিস অলিম্পিকে খেলার সরাসরি ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। গত বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে উঠতে পারিনি। তাই সোনা যে কোনও মূল্যে পেতেই হবে। প্যারিস অলিম্পিকের প্রস্তুতি এবছরই শুরু করে দিতে চাই।
৩৩ বছর বয়সেও এত প্রাণবন্ত থাকার রহস্য কী? শ্রীজেশ বলছেন, ফিটনেসই একটা বড় ফ্যাক্টর। আমাদের দল প্রচুর তরুণ প্রতিভা তুলে এনেছে। পাশাপাশি মনপ্রিত, হরমনপ্রীত, বরুণ কুমারদের মত সিনিয়ররাও আছে। তাই ভাল ফলের আশা করা যায়।