ভারতের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গৌতম গম্ভীর দুঃসাহসী পরিকল্পনা ও নতুন কৌশলের জন্য আলোচনায় রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে দল ক্রমাগত আগ্রাসী ও পরীক্ষামূলক ক্রিকেট খেলছে। কলকাতা টেস্টে ছয়জন বাঁহাতিকে একসঙ্গে খেলানোর পর এবার গুয়াহাটিতে সেই সংখ্যা সাত-এ পৌঁছতে পারে। এই সম্ভাব্য রেকর্ড শুধুমাত্র দলের কৌশলগত পরিবর্তনেরই নিদর্শন নয়, বরং ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি গম্ভীরের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
advertisement
শুভমন গিল যদি এই ম্যাচে না খেলেন, তাহলে তার জায়গায় দুই তরুণ ব্যাটার—সাই সুদর্শন ও দেবদত্ত পাডিক্কলের মধ্যে একজনকে দেখা যেতে পারে। দু’জনই বাঁহাতি এবং দু’জনেরই সাম্প্রতিক ফর্ম ও টেকনিক প্রশংসনীয়। সুদর্শন যেখানে ধারাবাহিকতা ও টেম্পারামেন্ট দিয়ে নজর কেড়েছেন, পাডিক্কল সেখানে তাঁর এলিগ্যান্ট ব্যাটিং দিয়ে লম্বা ফরম্যাটে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করতে আগ্রহী। দলে ইতিমধ্যেই যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদবের মতো ছয় বাঁহাতি আছেন। ফলে নতুন একজন বাঁহাতি যুক্ত হলেই সংখ্যা সাত পৌছে যাবে।
এমন এক লেফ্ট-হেভি ব্যাটিং লাইনআপ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেমন ফল দেবে, তা নিয়ে ক্রিকেট মহলে নানা আলোচনা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা সাধারণত ডানহাতি ব্যাটারদের জন্য বেশি পরিকল্পনা সাজায়, তবে বাঁহাতিদের বিরুদ্ধে তাদের আলাদা কৌশল গ্রহণ করতে হবে। যদিও অফ-স্টাম্পের বাইরে ধারাবাহিক লাইন ধরে রাখা বাঁহাতিদের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে, তারপরও ভারতীয় ব্যাটারদের দীর্ঘ তালিকা প্রতিপক্ষকে কৌশলগতভাবে চাপে ফেলতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও “লেফ্টহ্যান্ড আর্মি” নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ কেকেআরের নতুন অধিনায়ক কে? নিলামের আগেই চমক দেবে নাইটরা! জেনে নিন বিস্তারিত
সব মিলিয়ে গুয়াহাটি টেস্ট কেবল আরেকটি ম্যাচ নয়, বরং টিম ইন্ডিয়ার নতুন পরিচয়ের প্রতীক—আক্রমণাত্মক, নির্ভীক এবং অনবরত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটা। যদি ভারত সত্যিই সাতজন বাঁহাতি ব্যাটার নিয়ে মাঠে নামে এবং সফলও হয়, তবে এটি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে ধরা পড়বে। এখন দেখার বিষয়, এই সাহসী সিদ্ধান্ত ভারতকে সিরিজ ১–১ এ সমতায় ফিরিয়ে আনতে পারে কি না।
