মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শৃঙ্খলার অভাব, মনোভাব এবং শারীরিক ফিটনেসের কারণে ডানহাতি ব্যাটারকে আসন্ন ৫০ ওভারের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্তা বলেছেন, “সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে আমরা ১০ জন ফিল্ডার নিয়ে খেলছিলাম। কারণ পৃথ্বীকে লুকোতে হচ্ছিল। বল ধরা তো দূরের কথা, বলের কাছে পৌঁছতে পর্যন্ত পারছিল না।”
advertisement
পৃথ্বীর ব্যাটিং নিয়েও অসন্তুষ্ট তিনি, “ব্যাটিংয়ের সময়েও সবাই দেখেছে, বলের কাছে যেতে পারছিল না। শৃঙ্খলা নেই, ফিটনেস নেই, মনোভাবও ঠিক নয়। বিষয়টা পরিস্কার। একজন খেলোয়াড়ের জন্য আলাদা নিয়ম হতে পারে না।”
সিনিয়র ক্রিকেটাররাও নাকি পৃথ্বীর আচরণে অসন্তুষ্ট। এমনই দাবি ওই কর্তার। তিনি বলেছেন, “দলের অনেক সিনিয়রই পৃথ্বীর মনোভাব নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।” বিভিন্ন মিডিয়ায় এই নিয়ে লেখালিখির পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ইনস্টাগ্রামে রহস্যময় পোস্ট করেন পৃথ্বী।
পোস্টে পৃথ্বী লেখেন, “যদি পুরোপুরি না বোঝেন, তাহলে চুপ করে থাকুন। অনেকেই অর্ধেক জেনে মতামত দিচ্ছেন।” এবারই প্রথম নয়। মুম্বইয়ের দলে জায়গা না পাওয়ার পরেও নিজের ব্যাটিং পরিসংখ্যান দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন পৃথ্বী।
এমসিএ-এর এক কর্তা জানিয়েছেন, পৃথ্বী নিয়মিত প্র্যাকটিস সেশনেও আসতেন না। রাতের বেশিরভাগ সময়টা বাইরে কাটিয়ে ভোর ৬টার সময় হাজির হতেন। ওই কর্তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে সিদ্ধান্ত বদলানো যায় না।
এমসিএ-এর ওই কর্তার কথায়, “যদি কেউ ভেবে থাকেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে নির্বাচক বা এমসিএ-এর সিদ্ধান্ত বদলানো যাবে, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন।” তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, মাঠে ভাল পারফর্ম করতে হবে। তবেই সুযোগ মিলবে।
রঞ্জি ট্রফি থেকে বাদ পড়ার পরেও ফিটনেসের উপর কোনও কাজই করেননি পৃথ্বী। এমনই অভিযোগ ওই কর্তার। তিনি বলেন, “অক্টোবরে রঞ্জি ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ার পর পৃথ্বীকে নির্দিষ্ট ফিটনেস প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটাও অনুসরণ করেননি।” ওই কর্তার কথায়, “শুধু একটা কথাই বলব, কেউ পৃথ্বীর শত্রু নয়, পৃথ্বী নিজেই নিজের শত্রু।”