রোহিত জানতেন উইকেটে একটু সময় নিয়ে খেলতে পারলে এবং মানিয়ে নিতে পারলে তিনি বড় রান করতে পারেন। সেটাই চেষ্টা করেছিলেন প্রথম দিনের শেষ থেকে। প্রথম দিন হারিয়েছিলেন ওপেনিং পার্টনার রাহুলকে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিন একে একে আউট হলেন অশ্বিন, পূজারা, কোহলি, সূর্য কুমার। ৫ উইকেট যখন হারাল ভারত তখনও কিন্তু তারা লিড নিতে পারেনি।
advertisement
ফলে স্বার্থপরের মত শুধু নিজের সেঞ্চুরি নয়, দলের রান এবং লিড যতটা সম্ভব ভাল জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন রোহিত সেটা জানা ছিল। পাশে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনিও দীর্ঘদিন পর ফিট হয়ে কাম ব্যাক করেছিলেন। বল হাতে পাঁচটি উইকেট নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন জাদ্দু। দেখার ছিল ব্যাট হাতে কতটা অবদান রাখতে পারেন।
কারণ ভারতকে লিড নিতে হলে রোহিতকে সমর্থন করতেই হত জাদেজার। কারণ অস্ট্রেলিয়ার দুই স্পিনার লিওন এবং মারফি বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করছিলেন। বল কিছুটা উইকেটে থমকে গিয়ে আসছিল। রোহিত শর্মা জানতেন তাকে ধৈর্য দেখাতেই হবে। যদি লোভে পড়ে গিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন তবে দলকে একটা ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারাবেন।
তাই প্রতিটা বলের মেরিট অনুযায়ী ব্যাট করলেন। কারণ শেষ নামি ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন ভারত অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত মারফির বলে ইনসাইড আউট লংঅফের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন হিটম্যান।
