ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিনও ব্যর্থ হয় ভারতের ওপেনিং জুটি। বিরাট কোহলি খাতা না খুলেই আউট হন। কিন্তু এদিন বিধ্বংসী ফর্মে ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন হিটম্যান। প্রথমদিকে কার্যত একার হাতে টানেন দলকে। ৪১ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন ভারত অধিনায়ক। ইনিংসে ৮টি ছয় ও ৭টি চার মারেন রোহিত।
advertisement
রোহিত শর্মা ছাড়া ভারতের ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সূর্যকুমার যাদব। ১৬ বলে ৩১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া শিবম দুবে ২২ বলে ২৮ রান করেন। স্লগ ওভারে ফের একবার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৭ বলে ২৭ রান করেন তিনি। এছড়া ঋষভ পন্থ ১৫ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে ভারত।
রান তাড়া করতে শুরুটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নার ৬ রান করে আউট হন। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন ট্রেভিস হেড ও মিচেল মার্শ। ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হেড। তাকে সঙ্গে দেন মার্শ। দুজন মিলে দ্রুর ৮১ রানের রানের পার্টনারশিপ করে ভারতকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেন। মার্শ ৩৮ রান করে আউট হলেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান হেড। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। একটা সময় মনে হচ্ছিল ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হবে না তো?
হেডের সঙ্গে কিছুটা সঙ্গ দেন ম্যাক্সওয়েলও। তিনিও ২০ রানের ইনিংস খেলে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ বেরিয়ে না যায় ভারতের হাত থেকে। কিন্তু জসপ্রীত বুমরাহ হেডের উইকেট নিতেই ম্যাচ পুরো ঘুড়ে যায়। সেখান থেকে চাপের মুহূর্তে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে অজিরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ২৪ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। ভারতের সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। এছাড়া কুলদীপ যাদব ২টি, একটি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ ও অক্ষর প্যাটেল।