এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে বড় রান আসেনি। ১৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৮ রান করে আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপরই অনবদ্য ব্যাটিং করেন শ্রেয়স আইয়ার ও শুভমান গিল। দ্রুত গতিতে রান তোলার পাশাপাশি উইকেটও ছুড়ে দিয়ে আসেননি দুই তারকা। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন দুজন। বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি শ্রেয়স আইয়ার।
advertisement
গিল ও আইয়ার দুজনেই নিজেদের শতরান করেন। মাত্র ৮৬ বলে নিজের শতরান পূরণ করেন তিনি। এটি তার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান। পাশাপাশি ৯১ বলে নিজের আন্তর্জাতিক একদিনের কেরিয়ারের ষষ্ঠ শতরান পূরণ করেন শুভমান গিল। একইসঙ্গে দ্বিশতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। ২১৬ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ১০৫ রান করে আউট হন শ্রেয়স আইয়ার। ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে কেএল রাহুলও। ২৪৩ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ব্যক্তিগত ১০৪ রানে আউট হন শুভমান গিল।
এরপর কেএল রাহুল ও ইশান কিশান দুজনে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। পাটা উইকেটে মারকাটারি ব্যাটিং করেন দুজনেই। কেএল রাহুল ও ইশান কিশান তাদের ৫০ রানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। ৩০২ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৩১ রান করে আউট হন ইশান কিশান। এরপর ক্রিজে এসে ব্যাটিং তান্ডব শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব। একের পর মারকাটারি শট খেলতে থাকেন। অপদিকে, কেএল রাহুলও নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। দলের ৩৫৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫২ রান করে আউট হন কেএল রাহুল।
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বাইকাররা তাদের বাইকের হেডলাইটে X লেখে কেন? আসল কারণ জানলে অবাক হবেন
স্লগ ওভারে নিজের আক্রমণাত্মক ইনিংসের গতি আরও বাড়ান সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ২৪ বলে পূরণ করেন নিজে অর্ধশতরান। শেষের ২ ওভারে ভারতের রান রেট একটু কমে। তা নাহলে ও চারশো পার পৌছে যেত স্কোর। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৯৯ করে ভারত। ৭২ রানে সূর্যকুমার যাদব ও ১৩ রানে রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য টার্গেট ৪০০ রান।