কাজেই কোচ হিসেবে তিনি ব্যাটসম্যানদের সঠিক পরামর্শ দেবেন তাতে সন্দেহ নেই। তিনি ভারতীয় দলের কোচ নন। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে তার মনে হয়েছে প্রথম ২৫ ওভার উইকেটে টিকে থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে গতি এবং বাউন্স থাকলেও সেটা সামাল দেওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - Ind vs SA: ওমিক্রন বাড়লে সীমান্ত বন্ধ করে দিলে কী হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টফুট ডিফেন্স। এটাই ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানদের সেরা অস্ত্র। নতুন বলে মুভমেন্ট বেশি থাকে। হঠাৎ করে বল ভেতর দিকে ঢুকে আসতে পারে। তাই মিডল এবং অফ স্টাম্প নিয়ে ব্যাটসম্যানকে সামনের পায়ে ডিফেন্স করতে হবে। মিডল স্টাম্প গার্ড নিলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তিনি নিজে এই ফর্মুলা মেনে সফল হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাই তার বিশ্বাস এটাই বিপক্ষ পেসারদের সামাল দেওয়ার সেরা উপায়। রোহিত শর্মা এই সিরিজে না থাকায় ভারতীয় দলের অভিজ্ঞতায় কিছুটা মার খাবে সন্দেহ নেই। সচিন মনে করেন ইংল্যান্ড সফরে রোহিত এবং কে এল রাহুল ওপেন করতে নেমে সামনের পায়ে খেলেই সামাল দিয়েছিলেন ইংলিশ পেসারদের।
তবে রোহিত না থাকলেও বাকিরা যথেষ্ট দক্ষ। বিশেষ করে তরুণ মায়ানক আগারওয়াল এবং শ্রেয়স আইয়ার ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন। তবে ভারতের মাটিতে খেলা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ব্যাট করা, আকাশ পাতাল পার্থক্য।
ভারতের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর একদিন আগেই জানিয়েছিলেন সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে মেঘলা আবহাওয়ায় নতুন বলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সেরেছে ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচের সময় এই আবহাওয়া থাকলে ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন হয়ে যায়। বাড়তি সুইং এবং মুভমেন্ট পান বোলাররা। তাই সবকিছু মাথায় রেখে প্রস্তুতি সারা হয়েছে।
এবার ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নিজেদের প্রয়োগ কেমন ঘটান, সেটাই দেখার। দক্ষিণ আফ্রিকার জোড়া ফাস্ট বোলার রাবাডা এবং নখিয়া ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারত। কিন্তু চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন নখিয়া। তরুণ পেসার দুয়ান্ন অলিভার তার জায়গা নিতে পারেন। তাতে অবশ্য উচ্ছসিত হওয়ার কারণ দেখছে না ভারতীয় শিবির। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরা একমাত্র লক্ষ্য তাদের।