বছরটা শেষ হল দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ বলে পরিচিত সেঞ্চুরিয়নে ম্যাচ জিতে। কমপ্লিট পারফরম্যান্স যাকে বলে। দল হিসেবে পারফর্ম করেছে ভারত। কে এল রাহুল এবং আগারওয়াল অসাধারণ ব্যাট করেছেন। তবে বিরাট কোহলি আলাদা করে উল্লেখ করলেন মহম্মদ শামির কথা।
advertisement
ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক বলেন, আগেও বহুবার প্রমাণ করেছে, আজ আবার করল। আমার মতে শামি এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রথম তিনজন পেসারের একজন। উইকেটের চরিত্র যে রকমই হোক, শামি কিন্তু সাফল্য পায়। আসলে ওর সিম পজিশন এবং শক্তিশালী কব্জির কারণেই এমনটা সম্ভব। যে উইকেট থেকে অন্য বোলাররা সেভাবে সাহায্য পায় না, শামি নিজের দক্ষতার জোরে সাহায্য আদায় করে নেয়। এটাই ওর কৃতিত্ব। ওকে নিয়ে আমরা গর্বিত।
সিনিয়র ফাস্ট বোলার হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছে ধারাবাহিকভাবে। ওর বয়স কম নয়। কিন্তু একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে নিজেকে ধরে রাখা এবং নিজের ফিটনেস নিয়ে সচেতন থাকা শামির বাড়তি সুবিধা। একবার ছন্দ পেয়ে গেলে শামিকে সামলানো মোটেই সহজ নয়। ভারতের টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ২০০ উইকেট পেয়েছে।
সেঞ্চুরিয়ানে দুটো ইনিংস মিলিয়ে আট উইকেট নিয়েছে। এমন ধারাবাহিকতা দেখে অধিনায়ক হিসেবে আমি গর্বিত। পাশাপাশি বিরাট প্রশংসা করলেন বুমরাহর। প্রথম ইনিংসে পা মচকে গিয়েছিল তার। কিন্তু পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং মেসেজ নিয়ে প্রস্তুত হয়েছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেরাটা উজাড় করে দেবেন বলে। যে দুটো বলে ডুসেন এবং এলগারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বুমরাহ, দুটোই স্বপ্নের বল।
তিনিও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠেও নিজেকে প্রমাণ করলেন বুম বুম বুমরাহ। তার এবং শামির জুটি যে ভারতকে আরো অনেক টেস্ট জেতাবে নিশ্চিত ক্যাপ্টেন কোহলি। মহম্মদ সিরাজও নিজেকে উন্নত করেছেন। দুজন সিনিয়র ফাস্ট বোলার সিরাজকে সব সময় পরামর্শ দেন।
এই ত্রিমূর্তি এখন বিশ্বের যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপের কাছে বিভীষিকা সেটা প্রমানিত। বিরাট কোহলি বরাবর পাঁচজন বোলার নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। রবি শাস্ত্রী জমানায় সেটা হত। রাহুল দ্রাবিড় জামানায় সেটা অব্যাহত। ভারত শুধু ব্যাটিং দিয়ে নয়, গতির আগুন ছুটিয়ে বিপক্ষ দলের কুড়ি উইকেট তুলে এখন টেস্ট জিততে ভালোবাসে।