এই ঘটনার জেরে রবিবার রাতে পিসিবি ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ জানায় এবং ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে অপসারণের দাবি করে। পিসিবির দাবি, ম্যাচ রেফারি পরিস্থিতির উপযুক্তভাবে মূল্যায়ন করেননি এবং নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেননি। এমনকি পিসিবি এশিয়া কাপ বয়কটের হুঁশিয়ারীও দিয়েছিল।
তবে এই কঠোর অবস্থানের মাত্র একদিন পরই নতুন মোড় নেয় পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, পিসিবির পক্ষ থেকে এখন আর এশিয়া কাপ বয়কটের কোনো আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা নেই। আইসিসির প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন, পাকিস্তান তাদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখবে। এর ফলে উপমহাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
advertisement
ঘটনার আরেকটি দিক হলো ভারতীয় দলের জয় উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মন্তব্য। ম্যাচ শেষে ভারতের অধিনায়ক জয়টি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে উৎসর্গ করেন এবং পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার উল্লেখ করেন। পিসিবির মতে, এসব মন্তব্য খেলার মাঠে রাজনীতিকে টেনে আনা, যা খেলার চেতনা বিরোধী।
সব মিলিয়ে এই ঘটনা কেবল একটি হ্যান্ডশেক ঘিরে সীমাবদ্ধ না থেকে, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটীয় দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও পিসিবি আপাতত পিছু হটেছে, তবে এই বিতর্ক যে আগামী দিনেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।