ভারতীয় অধিনায়ক শুভমান গিল এবং কোচ গৌতম গম্ভীরের জন্য এটা সহজ সিদ্ধান্ত নয়। কারণ, উভয় খেলোয়াড়ই ‘ইন্ডিয়া এ’ বনাম ‘ইংল্যান্ড লায়ন্স’ ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন এবং উভয়েই সমানভাবে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে নীতিশ একটি ফিফটি করেছিলেন, যেখানে শার্দুলের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৪। এমন সমান পারফরম্যান্সের প্রেক্ষিতে কাউকে স্পষ্ট ফেভারিট বলা কঠিন। তাই অধিনায়ক গিল এবং কোচ গম্ভীরকে উভয়ের অতীত পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতার দিকে নজর দিতে হবে।
advertisement
২০২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে নীতিশ রেড্ডি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। পাঁচটি টেস্টে তিনি ২৯৮ রান করেছিলেন এবং মেলবোর্নে একটি সেঞ্চুরি করেন, যা ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় কীর্তি। তবে বোলিংয়ে তিনি পিছিয়ে ছিলেন—৯ ইনিংসে মাত্র ৩৪ ওভার বল করে ৩টি উইকেট পেয়েছিলেন। এমনকি ২০২৫ সালের আইপিএলেও তিনি একটিও বল করেননি। তবুও, কোচ গম্ভীর তাঁর প্রতিভার প্রতি আস্থা রেখেছেন।
অন্যদিকে, শার্দুল ঠাকুরের অভিজ্ঞতা তাঁকে নীতিশ রেড্ডির তুলনায় বেশি প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। ইংল্যান্ডে তিনি চারটি টেস্ট খেলেছেন এবং ১০টি উইকেট নিয়েছেন, পাশাপাশি ১৭৩ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি অর্ধশতক। যদিও ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি অনানুষ্ঠানিক টেস্টে তিনি ৫৫ ওভারে ১৬৮ রান দিয়েছিলেন, তবে তাঁর অভিজ্ঞতা এখনও দলে গুরুত্ব রাখে।
কোচ গম্ভীর বরাবরই তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে। অস্ট্রেলিয়া সফরেও তিনি শার্দুলের বদলে নীতিশকেই বেশি পছন্দ করেছিলেন। গম্ভীর বলেছিলেন, “নীতিশের খেলা পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।” শুভমান গিলও মনে হয় এই দৃষ্টিভঙ্গিতে গম্ভীরের সঙ্গে একমত।
তবে ইংল্যান্ডের লিডসের পিচ ফাস্ট বোলারদের সহায়তা করে। সেক্ষেত্রে চারজন মূল বোলার থাকা জরুরি। পঞ্চম বোলার হিসেবে স্পিন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে ব্যবহার করা হতে পারে। যদি ব্যাটিং গভীরতার কথা চিন্তা করা হয়, তাহলে নীতিশ সুযোগ পেতে পারেন; আর যদি বোলিং গুরুত্ব পায়, তাহলে অভিজ্ঞ শার্দুলকেই দলে নেওয়া হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, নতুন অধিনায়ক শুভমান গিল এবং কোচ গৌতম গম্ভীর শেষমেশ কাকে বেছে নেন।