অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। তার আগে শামি হাজির হয়েছিলেন সিএবিতে। বাংলার অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সংবর্ধনার আসরে হাজির হয়ে শামি নিজেকে অন্যভাবে মেলে ধরলেন। হয়ে উঠলেন দার্শনিক। মঞ্চে থাকা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজদের সামনে তাঁর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের রহস্য উন্মোচন করে বলে দিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, দেশের হয়ে খেলতে গেলে খিদে থাকতে হবে। ওর ও ভুখ কভি খতম নেহি হোনে চাহিয়ে।’ খিদে থাকলে পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, ঠিক ফিরে আসা যায়। শামি বলছেন, ‘হতে পারে দশবার আহত হলেন আপনি, কিন্তু তারপরও খেলা ও সাফল্যের খিদে থাকলে ঠিক ফিরে আসা যায়।’
advertisement
২০২৩ সালে আহমেদাবাদে একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে শেষবার তাঁকে বল হাতে দেখা গিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সেদিন বিশ্বকাপ জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। তারপর থেকে শামিও চোটের কারণে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। কেমন ছিল জীবনের সেই কঠিন পর্বটা? শামির কথায় আবেগ। বলে দিলেন, ‘ক্রিকেটে চোট লাগবেই। কিন্তু বিশ্বাস রাখতে হবে প্রত্যাবর্তনের। আমি বা আমরা যারা দেশ বা রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলি, তাদের কখনও মনে হতে পারে না ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা।’
শামির ক্রিকেট কেরিয়ারের স্বপ্নের উড়ান শুরু হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্স থেকে। সেখানেই ১৪ মাস পর কামব্যাক করতে চলেছেন তিনি। টিম ইন্ডিয়ার জোরে বোলারের কথায়, ‘ইডেন থেকেই কেরিয়ারের এগিয়ে চলা শুরু হয়েছিল আমার। বহু স্মৃতি রয়েছে এই মাঠে। এই ইডেন ও বাংলা আমার বাড়ি। দাদির (সৌরভ) সঙ্গেও এই ইডেনে বহু ম্যাচ খেলেছি। সেখানেই ফের ফিরতে পারার অনুভূতিটাই আলাদা।’ রবিবার চুটিয়ে বল করলেও সোমবার বল করেননি শামি। জিম করেছেন,ফিজিওর কাছে ছিলেন। ব্যাটিং করলেন ঝোড়ো মেজাজে। সব মিলিয়ে প্রত্যাবর্তনের সুযোগের পুরোটাই কাজে লাগাতে চাইছেন।