২০০২ সালের অ্যান্টিগা টেস্টে অনিল কুম্বলে ভাঙা চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধে বোলিং করেছিলেন। কুম্বলের মতো ভারতীয় দলের স্বার্থে ম্যানচেস্টারে ব্যাট হাতে নামবেন পন্থ। চতুর্থ টেস্টে উইকেটকিপিং করবেন ধ্রুব জুরেল। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন দলের সঙ্গে প্রথমে মাঠে আসেননি ঋষভ। এক ঘন্টা পর ড্রেসিংরুমে যোগ দেন ঋষভ।
২০০২ সালের অ্যান্টিগা টেস্টে অনিল কুম্বলে ভাঙা চোয়াল নিয়ে বোলিং করেছিলেন, যা ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিখ্যাত ঘটনা। ক্যারিবিয়ান পেসার মারভিন ডিলনের একটি বল তাঁর চোয়ালে আঘাত করে। চোয়াল ভেঙে যায়। কিন্তু তিনি মাঠ ছাড়েননি, বরং ব্যান্ডেজ বেঁধে বোলিং করে যান। ১৪ ওভার বল করেছিলেন সেদিন কুম্বলে।
advertisement
আরও পড়ুন- গত ৫১ বছর ধরে যা কেউ করতে পারেনি, তা এবার ম্যাঞ্চেস্টারে করে দেখাল ভারতীয় তারকা
এই ঘটনাটি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস ছিল। কুম্বলের সেই অদম্য জেদ এবং সাহসিকতা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আজও দাগ কেটে আছে। এমনকী তাঁর স্ত্রীও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি যে কুম্বলে সত্যিই চোয়াল ভাঙা অবস্থায় বোলিং করছেন, তিনি ভেবেছিলেন তিনি সম্ভবত মজা করছেন।
ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমেছে ভারত ৷ এই টেস্টে হার মানেই সিরিজও খোয়াবে টিম ইন্ডিয়া ৷ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফের চোট পেলেন ঋষভ পন্থ। ম্যাচের প্রথম দিন রিভার্স সুইপ মারতে যান তারকা ব্যাটার। তারপরেই দেখা যায়, পা ফুলে গিয়েছে তাঁর। পায়ে হেঁটে মাঠ ছাড়ার ক্ষমতাটুকুও ছিল না পন্থের। গাড়িতে করে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
ক্রিস ওক্সের ফুল লেংথের বল রিভার্স সুইপ মারতে গিয়েছিলেন ঋষভ। ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে বল গিয়ে লাগে তাঁর ডান পায়ের পাতায়। এলবিডব্লিউয়ের জন্য আবেদন করে ইংল্যান্ড। ভারতীয় সমর্থকরা তখন উইকেট হারানোর অশনি সঙ্কেত দেখছেন। আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল তাঁর ব্যাটে লেগে তার পরে জুতোয় আঘাত করেছে।
পন্থ আউট না হলেও সেই ডেলিভারির আঘাতে তাঁকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হল। যন্ত্রণায় প্রথম দিকে খোঁড়াচ্ছিলেন ভারতীয় তারকা উইকেটরক্ষক। কিছু ক্ষণ পরে দলের ডাক্তার দৌড়ে আসেন। হাঁটার ক্ষমতা পর্যন্ত ছিল না ঋষভের।