ব্যাটিং-বোলিং সবেতেই বিপর্যয়। টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পর অপ্রত্যাশিত হার। মেনে নেওয়া কঠিন। ট্রাভিস হেড আর লাবুশেনের ব্যাটে ভর দিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জয় অস্ট্রেলিয়ার। গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত খেলেছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালেও হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে ওয়ার্নারের অবিশ্বাস্য ক্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ তিনিই। কিন্তু পুরস্কার নেওয়ার পর কী করলেন? সেই ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
advertisement
ফাইনালে হারের পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কেউই। মাঠেই কেঁদে ফেলেন সিরাজরা। কিন্তু পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তো অংশ নিতেই হয়। নিয়ম রক্ষার মতোই মাঠে হাজির ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কোনও রকমে যেন শরীরটাকে টেনে নিয়ে এসেছেন। মন মাঠে নেই। সর্বোচ্চ রানের জন্য ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হন বিরাট কোহলি। রবি শাস্ত্রী নাম ঘোষণা করেন। ভাবলেশহীন শুকনো মুখে মঞ্চে ওঠেন বিরাট। পুরস্কারটা কোনও মতে নিয়েই নেমে পড়েন। আসলে পুরস্কার নেওয়ার পর সঞ্চালকের সঙ্গে অনুভূতি ভাগ করে নেওয়াই রেওয়াজ। তবে শাস্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন, বিরাট ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়েছেন। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বিরাট। সবচেয়ে বেশি রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি। একই সঙ্গে ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ট্র্যাভিস হেডকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিরাট কোহলি বিশ্বকাপের ১১টি ম্যাচে করেছেন ৭৬৫ রান। গড় ৯৫.৬২। এর মধ্যে ৩টি সেঞ্চুরি এবং ৬টি হাঁফ সেঞ্চুরি রয়েছে। এই বিশ্বকাপেই ওয়ান ডে সেঞ্চুরিতে সচিন তেন্ডুলকরের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির (৪৯) রেকর্ড ভাঙেন কোহলি। গড়েন নয়া মাইলফলক। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান (৬৭৩ রান) করার ক্ষেত্রেই সচিনকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিরাট। প্রসঙ্গত, সচিন ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে ৬৭৩ রান করেছিলেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন