বাংলাদেশ - ১৩৯/৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ী ৩ রানে
#শারজা: এই ম্যাচের আগে সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের অবস্থা ছিল শোচনীয়। এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচের দুটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান পাঁচ নম্বরে। আর প্রতিপক্ষ উইন্ডিজও সমান দুই ম্যাচ বাজেভাবে হেরে বাংলাদেশের পেছনে ছিল। তাই আজ টাইগারদের জন্য একটি অন্তত জয় পাওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল। এজন্য অবশ্যই গেইল-পোলার্ড-রাসেলদের আটকে রাখতে হবে, এটা জানা ছিল। তাছাড়া তলপেটের নিচে চোট পাওয়ায় আজ ছিলেন না নুরুল হাসান সোহান।
advertisement
শারজার উইকেট একদম নতুন ও তরতাজা। খানিকটা মন্থর ও নিচু বাউন্সের । পেস-স্পিনের দ্বিমুখী আক্রমণে প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারেই আনা হয় মুস্তাফিজকে। শেষ বলে আসে সাফল্য। মুস্তাফিজের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হন ৯ বলে ৬ রান করা এভিন লুইস। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। উইকেটে ছিলেন লিটন এবং মাহমুদুল্লাহ।
উনিশ ওভারের প্রথম বলে ব্রাভোকে ছয় মারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ডেথ ওভারে ব্রাভো দুনিয়ার অন্যতম সেরা বোলার। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছিল টেনশন। শেষ বলে আউট হলেন লিটন (৪৪)। হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। বল হাতে রাসেল। বাংলাদেশের সব আশা টিকে ছিল আফিফ এবং মাহমুদুল্লাহর ওপর। প্রথম বলে দুই রান নিলেন আফিফ। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইকে মাহমুদুল্লাহ। পরের বলে দুই রান। চতুর্থ বলে আবার দুই। পঞ্চম বলে আবার দুই রান নিলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল চার রান। দুরন্ত ইয়র্কার এল রাসেলের হাত থেকে। নাটকীয় ম্যাচে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
লড়াই করেও পরাজিত বাংলাদেশ। তিন রানে জিতল ক্যারিবিয়ান দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চেজ (৩৯) এবং পুরান (৪০) রান পেলেন। শারজার উইকেটে ১৪২ রান তাড়া করাটা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু অসম্ভবও ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণ রান তাড়াটা কঠিনই করে তুলল বাংলাদেশের জন্য।
গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সমর্থনও অনুপ্রেরণা, ক্যারিবীয়দের বাজে ফিল্ডিং, বাজে বোলিংও অনুপ্রেরণা হতে পারেনি মাহমুদউল্লাহদের জন্য। জয়ের খুব কাছে পৌঁছেও লক্ষ্য থেকে দূরে বাংলাদেশ। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টানা তৃতীয় ম্যাচে হেরে বিদায় বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হারটা ৩ রানের।