পাওয়ার প্লে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেও, পরের পাঁচ ওভার আসল চাবিকাঠি। এই সময়টা স্ট্রাইক রেট যত সম্ভব বাড়িয়ে নিতে হবে বাবর, রিজওয়ানদের। চেষ্টা করতে হবে পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে অন্তত ৪৫ থেকে ৫০ রান তোলা। প্রথম দশ ওভারে যেন দুই উইকেটের বেশি না পড়ে। মিডল অর্ডারে ভরসা দিতে হবে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের।
advertisement
তাছাড়া তিনি মনে করেন বরুণ চক্রবর্তী যদি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ খেলেন, তাহলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে পারেন পাক ব্যাটসম্যানরা। তিনি আইপিএলে বরুণকে বল করতে দেখেছেন। তাই মনে হয়েছে যেহেতু পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের বরুণের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই, তাই ভারতের বোলিং বিভাগের সারপ্রাইজ প্যাকেজ হতে পারেন কেকেআর স্পিনার।
পাশাপাশি শাহিন আফ্রিদি, হাসান আলিদের প্রতি আক্রমের পরামর্শ যত সম্ভব গুড লেন্থ স্পটে বল রাখার চেষ্টা করতে হবে। দুবাইয়ে কোহলি, রোহিত শর্মাদের আটকে রাখার এটাই সেরা উপায়। ওয়াসিম আক্রম মনে করেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত এগিয়ে আছে ৬০-৪০ ব্যবধানে। সবদিক থেকেই টিম ইন্ডিয়া অনেক বেশি প্রস্তুত। চাপ নেওয়ার ক্ষমতা থেকে মানসিকতা সব ক্ষেত্রেই ভারত অ্যাডভান্টেজ।
কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে গেলে এবং হারের চাকা উল্টোদিকে ঘোরাতে গেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সামনে আরো একটা সুযোগ। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে একটা দিন, কয়েকটা ওভার, একটা স্পেল অনেক হিসেব পাল্টে দিতে পারে। তাই ওয়াসিম আক্রম মনে করেন ভারত ফেভারিট হলেও, পাকিস্তান নিজেদের উজাড় করে দিতে পারলে চাকা ঘুরলেও ঘুরতে পারে। শুধু মানসিকতা এবং হার না মানা মনোভাব রাখতে হবে। শোয়েব মালিক এবং মহম্মদ হাফিজ দলে ফেরায় পাকিস্তান মিডল অর্ডার কিছুটা শক্তিশালী হবে মনে করেন তিনি।