#দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাসকটের আল আমিরাত স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বল হাতে টাইগারদের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত ইয়র্কারে স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েতজারকে বোল্ড করে দিয়েছিলেন তিনি। ৭ বল খেলে কোনো রানের দেখা পাননি স্কটিশ দলপতি।
advertisement
এরপর আক্রমণে এসেই বাংলাদেশকে জোড়া আঘাত এনে দেন মেহেদি হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারেও উইকেট পেয়েছেন মেহেদি। সাকিব আল হাসানের শিকার করেছেন দুই উইকেট। স্কটল্যান্ডের স্কোর ১১ দশমিক ৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৬ রান। মাঝের ওভারে সেভাবে রান তুলতে না পারলেও শেষদিকে ওয়াট এবং গ্রিভস মিলে কিছু আক্রমনাত্মক শট খেলে স্কটল্যান্ড এর রান ১৪০ নিয়ে গেল। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নিলেন মেহেদী হাসান। দুটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব।
বহুদিন ধরে ১০৭ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মুকুট পরে ছিলেন মালিঙ্গা। সেটা আজ থেকে সাকিবের। ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট ছিল মালিঙ্গার। সাকিবের এটি ৮৯তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। মালিঙ্গাকে ছোঁয়ার অপেক্ষা সাকিবের বহুদিনের। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই চলছে এই ক্ষণগণনা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দুটি করে উইকেট নিয়ে মালিঙ্গার সঙ্গে ব্যবধান এক-এ নামিয়ে এনেছিলেন সাকিব। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে উইকেট পাননি কোনো, পরের ম্যাচেও ছিলেন উইকেটশূন্য। আজ ছাড়িয়ে গেলেন মালিঙ্গাকে।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার দুজনেই পাঁচ রান করে ফিরে যান। সাকিব কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন ২০ করে। মুশফিকুর রহিম একাই লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। ৩৮ রানের ইনিংস সাজানো ছিল দুটি ওভার বাউন্ডারি এবং একটি বাউন্ডারি দিয়ে। কিন্তু সেই গ্রিভসকে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন তিনি। এখানেই বাংলাদেশের আশা অর্ধেক শেষ হয়ে গিয়েছিল।
মাহমুদুল্লাহ যতক্ষণ ছিলেন কিছুটা আশা হয়ত ছিল। কিন্তু উল্টোদিকে তাকে সমর্থন দেওয়ার মত কেউ ছিল না। স্কটল্যান্ড এর হয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করলেন গ্রিভস। বাংলাদেশের আফিফ কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু স্কটল্যান্ড দুর্দান্ত বল করার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে কমিটমেন্ট দেখাল।
আফিফ মিড উইকেট দিয়ে মারতে গিয়ে ওয়াটের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ১৮ করে। স্কটল্যান্ড কম রানের পুঁজি নিয়েও যেভাবে লড়াই করল তার তারিফ করতে হয়।এরপর নুরুল আউট হলেন। মাহমুদুল্লাহ লড়াই করেছিলেন। কিন্তু ২৩ করে সোজা তুলে মারতে গিয়ে ফিরে গেলেন।