যে ছয়টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ তারা এই মাঠে খেলেছে, জয় এসেছে প্রত্যেকটিতে। তাই টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে হালকা করে নেওয়ার ভুল করবে না। এটা ঠিক পাকিস্তান দলে শেষ মুহূর্তে তিনটি পরিবর্তন হয়েছে। তবে সেটা ভারতের মাথাব্যথার কারণ নয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যে পাঁচ পাক ক্রিকেটার ভারতকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচে দাপটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পাক দলের কিছু নামি তারকাদের
advertisement
বাবর আজম - এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত টেকনিক এবং হাতে দেখার মত শট আছে। বিরাট কোহলির তুলনায় শেষ কয়েক মাস বাবর অনেক বেশি ধারাবাহিক। বর্তমানে নিজের সেরা ছন্দে আছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। স্পিন এবং পেস দুটোর বিরুদ্ধেই ভাল খেলেন। কভার ড্রাইভ দর্শনীয়। বাবরকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে না পারলে চাপ বাড়বে ভারতের।
ফখর জামান - বছর চারেক আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন ফখর। পাকিস্তানের এই বাঁহাতি ওপেনার প্রচন্ড মারকুটে। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে ভালোবাসেন। টেকনিক উন্নত নয়। মূলত পাওয়ার হিটার। প্রথম ছয় ওভারে যত সম্ভব রান তোলার চেষ্টা করেন। ভারতের বিরুদ্ধে তার রেকর্ড যথেষ্ট ধারাবাহিক। তবে রবি অশ্বিন অথবা বরুণ চক্রবর্তীর মত স্পিনারদের বিরুদ্ধে কাজটা সহজ নয় ফখরের।
মহম্মদ হাফিজ - পাকিস্তানের এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। আইপিএলের প্রথম বর্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রফেসর জানেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহল। ব্যাট হাতে রান তোলার পাশাপাশি অফ স্পিন মন্দ করেন না। সবচেয়ে বড় কথা একটা দিক ধরে রাখতে পারেন। শেষদিকে বড় শট খেলতে পারেন সচ্ছন্দে।
শাদাব খান - পাকিস্তানের অন্যতম সেরা লেগস্পিনার। বল হাতে প্রচন্ড ধারাবাহিক শাদাব। সঠিক জায়গায় বল রাখতে জানেন। আমিরশাহির উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ভারতের রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা খানিকটা রয়েছে। শাদাব লেগস্পিনের পাশাপাশি গুগলি দুর্দান্ত করেন। ব্যাট হাতেও রান করার ক্ষমতা আছে। হাওয়ায় বুদ্ধি করে লুপ দিতে পারেন। তাই তার বিরুদ্ধে ভারতকে গেমপ্ল্যান সাজিয়ে রাখতে হবে।
শাহিন আফ্রিদি - দীর্ঘকায় এই বাঁহাতি পেসার ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেন। বলে গতি আছে, উচ্চতা ভাল হওয়ার কারণে বাউন্স আদায় করতে পারেন। উইকেটে মুভমেন্ট থাকলে বাড়তি সুইং আদায় করতে পারেন। বিশেষ করে ডান হাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে তার ভেতরে ঢুকে আসা বল সামাল দেওয়া সহজ নয়।
ইমাদ ওয়াসিম - পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার মূলত বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। কিন্তু প্রয়োজনে ব্যাট হাতে রান করতে পারেন। বড় শট খেলতে দক্ষ। ইংল্যান্ডে প্রচুর কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। বলে এই ফরম্যাটে অভিজ্ঞতা রয়েছে।
দুর্বলতা - বাবর আজমের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল ব্যাটিং। কিছুটা হাফিজ ছাড়া ধারাবাহিকতা নেই কারো। ফখর জামান মারকুটে ব্যাটসম্যান। কিন্তু ভাল স্পিনারদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকতা নেই। বোলিং বিভাগে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা শাহিন আফ্রিদির ওপর।
পাকিস্তান দল
বাবর আজম, আসিফ আলি, ফখর জামান, হায়দার আলী, মাকসুদ, রিজওয়ান, সরফরাজ, ইমাদ, হাফিজ, নওয়াজ, ওয়াসিম, শাদাব খান, হ্যারিস রউফ, হাসান আলি, শাহীন আফ্রিদি