বাবর এবং রিজওয়ান তাকে সহজেই খেলেছেন। প্রাক্তন পাকিস্তান ওপেনার সালমান বাট বলেছেন বরুণ চক্রবর্তীর মত স্পিনার পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলার জন্য যথেষ্ট নয়। এরকম স্পিনার পাকিস্তানের রাস্তার গলিতে পাওয়া যায়। নিউজিল্যান্ড দলে একদিকে যেমন উইলিয়ামসন, মার্টিন গাপটিল, ডিরেল মিচেলদের মত ডানহাতি ব্যাটের আছে, তেমনই নিশাম, চ্যাপম্যান, কোনওয়েদের মত বাঁহাতি ব্যাটারও আছে। সেক্ষেত্রে রাহুল চাহার এবং রবীচন্দ্রন অশ্বিন পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।
advertisement
বাঁহাতি ব্যাটারদের ক্ষেত্রে অশ্বিনকে সামলানো সহজ নয়। আর ডানহাতিদের ক্ষেত্রে রাহুল চাহারের লেগ স্পিন, গুগলি, ফ্লিপর বড় অস্ত্র হতে পারে। মাঝের কয়েকটা দিন নেটে এই দুজনকে নিয়ে আলাদা সময় দেবেন বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। ভারতীয় দলের এখন সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ টিম কম্বিনেশন ঠিক করা৷ এই ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলে অন্তত ৩ টি বদল আসবেই৷ বরুণ চক্রবর্তীর জায়গায় তাঁকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের খেলার সম্ভবনা উজ্জ্বল৷ কারণ তাঁর অভিজ্ঞতা এই ধরণের মঞ্চে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
মোটকথা ভারত জানে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে না পারলে, তাদের আর আশা নেই। প্রত্যাশার চাপ প্রচুর। বছর দুয়েক আগে একদিনের বিশ্বকাপে লর্ডসে এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেই ছিটকে যেতে হয়েছিল ভারতকে। হারতে হয়েছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আবার সামনে ব্ল্যাক ক্যাপ্স। ভারতের পেছন ফিরে দেখার সুযোগ নেই। মোট কথা, রবিবার ডু অর ডাই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে স্পিন মন্ত্রই কাজে লাগাতে চাইছে ভারত।
ভিডিও অ্যানালিসিস করে বিভিন্ন কিউই ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা দেখা হয়ে গিয়েছে ভারতীয় বোলারদের। এখন ২২ গজের লড়াইয়ে কী হবে সেটাই দেখার। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমান ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় বঙ্গ র মনে করেন অশ্বিন দলে এলে যেমন পাওয়ার প্লে তে বল করতে পারেন, তেমনই মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নিতে পারবেন। অভিজ্ঞতার বিচারে বরুণ চক্রবর্তীর থেকে অনেক এগিয়ে তিনি। তাই অভিজ্ঞ অশ্বিন বল হাতে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।