ইংল্যান্ড - ১২৬/২
ইংল্যান্ড জয়ী ৮ উইকেটে
#দুবাই: দুই পুরনো শত্রুর লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একপেশে ম্যাচে উড়িয়ে দেবে ইংল্যান্ড সেটা বোঝা গিয়েছিল প্রথম ইনিংসের শেষেই। ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে কিছুটা ধাক্কা দিতে হলে একমাত্র মিচেল স্টার্ক ছাড়া আর কেউ ছিল না হলুদ জার্সিধারীদের। বাটলার এবং জেসন রয় ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেললেন ৬৬ রান। রয় ২২ করে অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ হলেও ইংল্যান্ডের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না। ডেভিড মালান ৮ করে ফিরে গেলেন। কিন্তু বাকি কাজটা জনি বেয়ারস্টো এবং জস বাটলার মিলে করে ফেললেন।
advertisement
আরও পড়ুন - Ishan Kishan for Hardik : সূর্যকে বসিয়ে প্রথম দলে ঈশানকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের
বিশেষ করে বাটলার। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মাথায় চড়তে দিলেন না। বিশাল কয়েকটা ছক্কা মারলেন। ক্লাবের পর্যায়ে নামিয়ে আনলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। ম্যাচটা ইংল্যান্ড শেষ করে দিল ১১.৪ ওভারে। বুঝিয়ে দিল এই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছে তারা। বাটলার অপরাজিত রইলেন ৭১ রানে। মাত্র ৩২ বলে এই রান করলেন তিনি।তিনটি ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ওয়ানে শীর্ষে চলে এল ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সমান পয়েন্ট হলেও রানরেটে তিন নম্বরে নেমে এল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন ইংলিশ ফাস্ট বোলার ক্রিস জর্ডান।
আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকেই আজ তাই মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। শক্তির তারতম্যে কোনো দল পিছিয়ে না থাকলেও, মুখোমুখি দেখায় কিন্তু এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ড যেখানে অজিদের বিপক্ষে ৮ জয় পেয়েছে, সেখানে ইংলিশদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয় ১০ ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচের একটি ভেস্তে গিয়েছিল, আরেকটি হয়েছিল টাই। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান।
দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিস ওকস ফিরিয়ে দিলেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। মাত্র ১ করে আউট ওয়ার্নার। এলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু জর্ডান ফিরিয়ে দিলেন স্মিথকে। মিড অনে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন ওকস। প্রথমেই দুটো উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ওভারে এলবিডব্লিউ ম্যাক্সওয়েল (৬)। ঘাতকের নাম ক্রিস ওকস। তার সুইং সামাল দিতে পারছিলেন না অজি ব্যাটেররা। পাল্লা দিয়ে দুর্দান্ত বল করছিলেন জর্ডান। পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ২১/৩। সপ্তম ওভারে আদিল রশিদের গুগলি সামলাতে না পেরে এলবিডব্লিউ হলেন স্তোইনিস। খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন অজি অলরাউন্ডার।
আদিল রশিদের গুগলি, রং ওয়ান বুঝতেও সমস্যা হচ্ছিল ফিঞ্চদের। ম্যাথু ওয়েড পর্যন্ত রান করতে পারছিলেন না। এমনকি পার্ট টাইম বোলার লিভিংস্টোন পর্যন্ত দারুণ বল করলেন। প্রথম ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৪১/৪। এরপর বল করতে এলেন টাইমাল মিলস। বলের গতি পরিবর্তন করে বারবার পরাস্ত করতে থাকলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের।বলা উচিত ইংল্যান্ড ম্যাচটা জিতল না, অস্ট্রেলিয়াকে শুধু উড়িয়ে দিল। এরকম আত্মসমর্পণ করতে শেষ কবে দেখা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে মনে করা কঠিন।