বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ১৮২ রানতাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পাপুয়া নিউগিনি অলআউট হয় ৯৭ রানেই। ফলে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে বাংলাদেশ তুলে নিলো সবচেয়ে বড় জয়। সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের সামনেই মূলত উড়ে গেলো পাপুয়া নিউগিনি। ব্যাট হাতে ৪৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে তিনি নেন ৪ উইকেট। শুধু উইকেট নেয়াই নয়, সবচেয়ে কৃপণও ছিলেন তিনি। তার ৪ ওভার থেকে মাত্র ৯টি রান নিতে পেরেছে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটাররা।
advertisement
সাকিবের ঘূর্ণির সঙ্গে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটসম্যানদের সামনে ত্রাস হিসেবে হাজির হন সাইফউদ্দিন, তাসকিন এবং মেহেদী হাসানরা। শঙ্কা জেগেছিল, ৫০ রানের মধ্যেই না আবার অলআউট হয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। কিন্তু আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা কিপলিন ডোরিগা ৩৪ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস। তার এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই ৯০ এর ঘর পার হয়ে যায় পিএনজি।
প্রায় একশ’র কাছাকাছি গিয়ে থামে তারা। সাকিব আল হাসানের ৪ উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন এবং তাসকিন নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসান। সাকিব ভাগ বসিয়েছেন শহিদ আফ্রিদির রেকর্ডে। টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতদিন সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির।
৩৪টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে আফ্রিদির শিকার ৩৯টি। সেখানে মাত্র ২৮ ম্যাচেই আফ্রিদির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব। আগামী ম্যাচে আর একটি উইকেট পেলেই সাকিব চলে যাবেন শীর্ষে। বলের হিসেবেও আফ্রিদির চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার।