১. ডিআরএসের নিয়মে বদল: সবথেকে বড় পরিবর্তন করা হয়েছে ডিআরএসের নিয়মের ক্ষেত্রে। আগে কিপার ক্যাচের বা স্টাম্পিংয়ের মধ্যে একটির আপিল করে রিভিউ নিলে রিপ্লে-তে দুটি আউটই চেক করা হত। যে কোনও একটি আউট হলেই আম্পায় আউট দিয়ে দিত। এবার থেকে স্টাম্পিং না ক্যাচ-এর আবেদন সেটা ফিল্ডিং দলকে জানাতে হবে। শুধু সেই আউটটিই চেক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুটি বিষয় দেখা হবে না।
advertisement
২. কনকাশন পরিবর্তনের নিয়মে বদল: এছাডা, কনকাশন পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। কনকাশন পরিবর্তন হল ম্যাচ চলাকালীন মাঠে যদি কোনও ক্রিকেটার গুরুতর চোট পায় ও না খেলার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সেই দল চোটপ্রাপ্ত প্লেয়ারের পরিবর্তে অন্য প্লেয়ারকে নিতে পারত। তবে এবার থেকে এই নিয়মে আরও একটি ছোট বিষয় যোগ করা হয়েছে। যদি আহত প্লেয়ার চোটের কারণে বা অন্য কারণে বোলিং থেকে বিরত থাকে, তাহলে কনকাশন পরিবর্তন হিসেবে যে প্লেয়ার নামবে তাঁকেও বল করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৩. চোট প্রাপ্ত প্লেয়ারের মাঠে চিকিৎসার সময় বেঁধে দেওয়া: এছাড়া ক্রিকেট হোক বা ফুটবল খেলা চলাকালীন প্লেয়ার চোট পেলে মাঠেই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার নিয়ম রয়েছে। তবে এর আগে মাঠে চোটপ্রাপ্ত প্লেয়ারের চিকিৎসার জন্য কোনও সময় বেঁধে দেওয়া ছিল না। কিন্তু এবার থেকে ফিফার পথেই হাঁটতে চলেছে আইসিসি। চার মিনিটের মধ্যে কোনও প্লেয়ারের চোট ঠিক না হলে তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে হবে। তার পরিবর্তে অন্য প্লেয়ার নামবে।
আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল থেকে বাদ ৫ মহাতারকা! টিম ইন্ডিয়া দিতে পারে মহাচমক
৪. নো বলের নিয়মে বদল: এর পাশাপাশি নো বলের ক্ষেত্রেও একটি নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমান নিয়মে মাঠের আম্পায়ার যদি বোলারের ফ্রন্ট ফুট নো বল দেখতে মিস করে যান তাহলে তৃতীয় আম্পায়ার তা শুধরে দেন। তবে এবার থেকে শুধু বোলারের ফ্রন্ট ফুট নয়, তৃতীয় আম্পায়ারকে এখন থেকে বোলিং ক্রিজে বোলারের পিছনের পায়ের অবস্থান নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, বোলারের পা বোলিং বক্সের মধ্যে নিয়ম মেনে পড়ছে কিনা তা তৃতীয় আম্পায়ারকে অবশ্যই যাচাই করতে হবে।