আরও পড়ুন - Neeraj Chopra target : নতুন বছরে দেশের জন্য জোড়া সোনার লক্ষ্যে প্রস্তুত নীরজ চোপড়া
২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পরে হরভজন ভারতের হয়ে মাত্র ১০ টেস্ট এবং ১০ ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১৩ সালেরর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৫ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ স্কোয়াডেও জায়গা পাননি। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হরভজন জানিয়েছেন, তিনি নিজের বাদ পড়ার কারণ জানতে চেয়েছিলেন ধোনির কাছে। তবে কোনো জবাব পাননি।
advertisement
আরও পড়ুন - Kaif on KL Rahul : রাহুল দ্রাবিড়ের ছায়া স্পষ্ট কে এল রাহুলের মধ্যে! বলছেন মহম্মদ কাইফ
একসময় তিনি বুঝতে পারেন, বারবার বলেও উত্তর মিলবে না। তাই জিজ্ঞাসা করাই বন্ধ করে দেন। হরভজনের ভাষায়, আমি ক্যাপ্টেনকে (ধোনি) বেশ কয়েকবার নিজের বাদ পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করি। তবে কোনো কারণই জানানো হয়নি। একসময় উপলব্ধি করতে পারি, জিজ্ঞাসা করেও কোনো উত্তর মিলবে না। আমাকে বাদ দেওয়ার পিছনে কে, সেটাও জানতে পারিনি।
তারপরেই জিজ্ঞাসা করা ছেড়ে দিই। ২০১১ বিশ্বকাপের পর একাধিকবার হরভজন জাতীয় দলে ফিরেছেন। তবে কখনই আর নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেননি। ২০১৬ সালে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা যায় তারকাকে। সেই বছরে ভারতে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও হরভজন ছিলেন, তবে একাদশের হয়ে আর নামা হয়নি। তারপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের বাইরে রাখা হয় তাকে।
তারপর আর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি। ভারতের হয়ে খেলতে না দেখা গেলেও আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে পঞ্জাবের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন। কিছুদিন আগে শেষ হওয়া আইপিএলেও ইয়ন মর্গ্যানের কেকেআর দলে ছিলেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অফস্পিনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্টে ৪১৭ উইকেট নিয়েছেন।
ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা ২৬৯টি। শোনা যাচ্ছে আসন্ন আইপিএলে কোনো এক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সাপোর্ট স্টাফ হিসাবে যোগ দেবেন তিনি। পাশাপাশি আরও একবার নিজের ক্রিকেট জীবনের সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সৌরভ যখন তার ওপর ভরসা রেখেছিলেন, তখন নির্বাচকরা তাকে নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিলেন।
কিন্তু সৌরভের হাত থাকায় তিনি খোলা মনে পারফর্ম করতে পারেন। যেটা মুখে বললেন না, কিন্তু বুঝিয়ে দিলেন, তা হল, সৌরভের হাতে যদি তিনি তৈরি হয়ে থাকেন, তাহলে শেষ হয়েছেন এমএস ধোনির হাতে।