কিন্তু অধিনায়ক না হতে পারার ব্যথা হয়তো থেকে যাবে। কিন্তু এটা নিয়ে তিনি সময় নষ্ট করতে চান না। কাউকে দোষ দিতে চান না। পরিষ্কার বলেছেন বিসিসিআইয়ের কাউকে চিনতেন না। গডফাদার ছিল না সেভাবে। তাই হয়তো তাকে দেশের অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হয়নি। দেশের জার্সিতে ৭১১ উইকেট থাকা সত্ত্বেও নয়।
advertisement
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। সেই সাফল্য নিয়েও খুব একটা কথা হয় না। পাশাপাশি হরভজন জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, অনিল কুম্বলেদের মত তারকাদের সঙ্গে খেলতে পেরে তিনি গর্বিত। এরা তার মত এক তরুণ ক্রিকেটারকে আপন করে নিয়েছিলেন।
এমনকি কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের জায়গায় হরভজনকে খেলানো হয়েছে। তার জন্য কখনও কুম্বলে তার ওপর রাগ দেখাননি। বরং সাহায্য করেছেন টিপস দিয়ে। তাই আজ পর্যন্ত অনিল কুম্বলেকে তিনি হিরো মনে করেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে নতুন ক্রিকেটার হিসেবে যে পরিমান ভরসা করেছিলেন সেটাও সবসময় মনে রাখবেন। খেলার মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষ যাদের সঙ্গে প্রায় ঝামেলা লাগত ভাজ্জির।
একাধিকবার কথা কাটাকাটি হয়েছে রিকি পন্টিং, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেডেনদের সঙ্গে। এমনকি তখনকার দিনে হোটেলের লবিতেও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা হলে কথা হত না। এখন আইপিএল হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আগের মত শত্রুতা নেই।
তবে সে যুগেও হরভজন তার লড়াকু চরিত্রের জন্য অস্ট্রেলিয়ানদের প্রশংসা পেয়েছেন। তিনি মনে করেন সে যুগের অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দল ছিল। এখনকার অস্ট্রেলিয়া থেকে অনেক কঠিন। পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তার সম্পর্ক নরমে-গরমে।
একটা সময় গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, যুবরাজ সিং নিজেদের সেরা সময় খেলা চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যেভাবে সরানো হয়েছিল, তার জন্য ভারতীয় বোর্ডের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না বলে দিচ্ছেন হরভজন। বিসিসিআইকে তিনি সরকার বলে ডাকেন। ওই ক্রিকেটারদের যথেষ্ট সম্মান প্রাপ্য ছিল বলছেন ভাজ্জি। তৎকালীন নির্বাচকরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেননি মনে করেন হরভজন।