কেভিন ডি ব্রুইন ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছেন কাতার বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। ডিব্রুইন, থিবাউ কোরটয়েস, ইডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু সমৃদ্ধ বেলজিয়াম এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট। ২০১২ সালে এই সোনালী প্রজন্মের ফুটবলাররা নেদারল্যান্ডসকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দেশের সমর্থকদের মধ্যে নতুন আশা জাগালেও বড় মঞ্চে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন - ভারতীয় ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত মাথায় চড়ানোর ফল! শোচনীয় পরাজয়ে বিদ্ধ করলেন শোয়েব
advertisement
২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় বেলজিয়াম। চার বছর পর ফ্রান্সের কাছে সেমিফাইনালে হেরে যায় বেলজিয়াম। এটাই রেড ডেভিলসদের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সেরা পারফরম্যান্স। টুর্নামেন্ট জেতার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, প্রতিভাবান ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও বারবার ব্যর্থ হয়েছে এই ফুটবল পাগল দেশের ফুটবলাররা।
২০১৬ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপেও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের। অনেক ফুটবল পন্ডিত বেলজিয়ামের কাপ জেতার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রাক্তন বেলজিয়ান কোচ জর্জ লিকেন্স কাপ জেতার জন্য বেলজিয়ান ফুটবলারদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। লিকেন্স বলেন, কোনও ট্রফি না জিতেই আমরা ফিফার ক্রমতালিকায় শীর্ষে ছিলাম। এর কোনও মানে নেই।
যখন কোনও কিছু করার তুমি সাহস দেখাতে পারো না, কোনও কিছুই তোমার সঙ্গে থাকবে না। মার্টিনেজের ছেলেদের মধ্যে এই মানসিকতা ও ইচ্ছা নেই। বেশিরভাগ বেলজিয়ান তারকাদের বয়স ৩০ এর বেশি। তাই এই বিশ্বকাপই তাদের শেষ বিশ্বকাপ মনে করা হচ্ছে। ২২ বছর বয়সী লয়েস অপেণ্ডা, ২১ বছর বয়সী চার্লস দে কেটেলারি, ২১ বছর বয়সী আমাদউ ওনানা বেলজিয়ামের নতুন প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার।
এই বিশ্বকাপে পুরোনো তারকাদের পাশাপাশি এরাও জ্বলে উঠবেন বলে আশা কোচ মার্টিনেজ সহ দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। দলের অধিনায়ক ইডেন হ্যাজার্ড মনে করেন এই বিশ্বকাপ তাদের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করার। হ্যাজার্ড বলেন, সোনালী প্রজন্ম নিয়ে কথা হয়, অবশ্যই তার মধ্যে কিছু সত্যতা রয়েছে।
আমরা প্রায় এক দশক একসঙ্গে কাটিয়েছি। অবশ্যই আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য ফুটবলাররা রয়েছেন, কিন্তু আমরা এখনও কিছু জিততে পারিনি। আমাদের যদি সোনালী প্রজন্মের নামটাকে সার্থক করতে হয়, তবে আমাদের ঐ কাজটা করতেই হবে।