তাই ঘুরপথে ভেসে উঠছে লোকেশ রাহুলের নামও। প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে টেস্ট দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত তরুণ উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থকেই। ভিন্ন ভিন্ন মত সামনে আসায় আপাতত ধীরে চলে নীতি নিয়েছে বিসিসিআই। ভারতীয় দল পরবর্তী টেস্ট সিরিজ খেলবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে, বিরাট কোহলির ছেড়ে যাওয়া জুতোয় কে পা গলাবেন।
advertisement
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর জানিয়েছেন, তিন ফরম্যাটে একজন অধিনায়ক থাকাই ভালে। রোহিত শর্মা ইতিমধ্যে ওয়ান ডে এবং টি-২০ দলের দায়িত্ব পেয়েছে। তাই টেস্ট দলের অধিনায়ক ওরই হওয়া উচিত। তাতে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। ক্রিকেটাররা অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে। বিরাট কোহলির টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত বলে মনে করছেন গম্ভীর।
তিনি বলেছেন, বিগত কয়েক দিন ধরে এই বিষয়টা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। তবে কোহলির উপর কোনও চাপ ছিল বলে মনে হয় না। ও নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে। তাই এত হই চইয়ের কোনও কারণ দেখছি না। ভারতীয় টেস্ট দল যথেষ্ট শক্তিশালী। বিশেষ করে বোলিং বিশ্বমানের। তাই নতুন অধিনায়কের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বরং ব্যাটিংয়ে আরও জোর দিতে হবে।
বিশেষ করে মিডল অর্ডারে খামতি থাকছে। এই ত্রুটি শুধরে নিতে পারলে আগামীদিনে লাল বলের ক্রিকেটে ফের চেনা ছন্দে ফিরবে টিম ইন্ডিয়া। তবে বিরাট কোহলি যে জাতের ব্যাটসম্যান তাতে নিজের সেরা ছন্দে ফিরছে একটা বা দুটো ইনিংস যথেষ্ট মনে করেন গম্ভীর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপটাউন টেস্টে এক ইনিংসে যথেষ্ট ভাল ব্যাট করেছিলেন বিরাট।
কিন্তু থেমে যেতে হয় ৭৯ রানে। প্রথম একদিনের ম্যাচেও অর্ধশত রান করেছেন। গম্ভীরের মনে হচ্ছে বড় রান পাওয়া থেকে বেশি দূরে নেই বিরাট। অধিনায়কত্বের বোঝা কমে গিয়ে ভালোই হয়েছে। কিন্তু যদি তিন ফরম্যাটেই রোহিতকে অধিনায়ক করা হয়, সেটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।