তবে এখন দলের দায়িত্ব ছেড়ে পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে বেড়াচ্ছেন রবি। সম্প্রতি এমন একটি মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর গালাগালি হজম করতে হচ্ছে তাকে। গত টি-২০ বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ধরা হয়েছিল ভারতকে। কিন্তু বিরাট কোহলির দল প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারেনি। প্রথম দু’টি ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় নক-আউটে কোয়ালিফাই করতে পারেনি তারা।
advertisement
আমিরশাহিতে ভারতের এই ভারাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করলেন তত্কালীন কোচ রবি শাস্ত্রী। শনিবার তিনি বলেন, প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান দুর্দান্ত খেলেছিল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের। কিন্তু সেই ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে ভয় পেয়ে যায় ছেলেরা। আর সেটা তাদের খেলায় স্পষ্ট চোখে পড়ছিল। লড়াই করে হারলে বলার কিছু থাকে না। কিন্তু ভীতুর মতো খেলে হারলে কষ্ট হয় বেশি।
পাশাপাশি বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে শুরুতে হারলে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, টি-২০ বিশ্বকাপের পরই ভারতীয় দলের হেড কোচের পদ থেকে বিদায় নেন রবি শাস্ত্রী। শেষটা ভাল না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের ফরম্যাট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। শাস্ত্রীর কথায়, এবারের ফরম্যাট ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের মতো ছিল না।
ইংল্যান্ডে প্রতিটি দল সবার বিরুদ্ধে খেলছিল। তারপর সেরা চার দল নক-আউটে গিয়েছিল। আমার মতে, রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটই বিশ্বকাপের ফল নির্ধারণের জন্য আদর্শ। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় সর্মথকরা রবি শাস্ত্রির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছেন, দলে কেন ভয় ঢুকল? কোচ হিসেবে আপনি কী করছিলেন? যখন জানতেন পাকিস্তানের কাছে প্রায় আত্মসমর্পণ করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বাঁচা-মরার লড়াই, ছেলেদের মানসিকভাবে কেন চাঙ্গা করতে পারলেন না?
শুধু ঘুমানোর জন্য কি কোটি কোটি টাকা বেতন নিতেন ? ভারতের কোচের পদটা কি বসে বসে দেখার জন্য তৈরি হয়েছে? রবি অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব প্রশ্নের উত্তর দেননি। অতীতে তিনি দাবি করেছিলেন তার আমলে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয় নাকি কপিল দেবের প্রথম বার বিশ্বকাপ জয়ের থেকে এগিয়ে। গৌতম গম্ভীর সহ যার প্রতিবাদ করেছিলেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।