কখনও ভারতীয় ফুটবলারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কখনও রেফারিং নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সাসপেন্ড হয়েছেন। কিন্তু নিজেকে বদলানোর প্রয়োজন মনে করেননি। ব্রিটিশ উন্নাসিকতা থেকে বের হতে পারেননি লাল-হলুদ কোচ। ফল ভুগতে হয়েছে অসংখ্য সমর্থককে। ইস্টবেঙ্গল সবচেয়ে করে প্রস্তুতি শুরু করেছিল, সবচেয়ে কম সময় পেয়েছিল সন্দেহ নেই। কিন্তু টুর্নামেন্টের শেষ প্রান্তে এসেও প্রমাণিত হয়েছে দলটাকে সেট করতে পারেননি তিনি।
advertisement
আপাতত দেশে ফিরে গিয়েছেন হাইপ্রোফাইল ম্যানেজার। মুম্বই থেকে
ম্যানচেস্টারের বিমান ধরেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সহকারী টনি গ্রান্ট। অ্যান্টনি পিলকিংটন, জ্যাক মাঘোমা, ব্রাইট এনোবাখারে, অ্যারণ আমাদি, স্কট নেভিলরাও ওই বিমানেই ফিরে গিয়েছেন দেশে। পরের বিমানে রওনা দিলেন ড্যানি ফক্স, স্টেনম্যান। দেবজিৎ, রফিক, সুব্রত পালরা সোমবার ফিরে এসেছেন কলকাতায়। যদিও পরের মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে এখনই বলা যাবে না।
বর্তমান ইনভেস্টর যদি থেকে যায় তাহলে ব্রিটিশ কোচের ভারতে ফেরা নিশ্চিত। কিন্তু যদি চূড়ান্ত চুক্তি না হয় তখন সরে আসতে পারে ইনভেস্টর গ্রুপ। ফাওলার অবশ্য সমর্থকদের অভয় দিয়ে জানিয়েছেন পরের মরশুমের কাজ এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ দল নির্বাচন থেকে শুরু করে নতুন বিদেশি ফুটবলার আনা, সব ব্যাপারে তাঁকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে।
কথা দিয়েছেন সমর্থকদের প্রচুর আনন্দের মুহূর্ত উপহার দেবে তাঁর দল পরের মরশুমে। শুধু ভাল ফুটবলার নয়, একটা ফুটবল স্টাইল তুলে ধরতে চান তিনি। সেই বুঝেই দল তৈরি হবে। পরের বার প্রাক-মরশুম প্রস্তুতির সময় প্রথম থেকে পাওয়া যাবে বলেই আরও আত্মবিশ্বাসী তিনি। তিনি সাফল্য পাবেন কিনা সময় বলবে। কিন্তু অনেক প্রাক্তন ফুটবলারই কোচ রবি ফাওলারের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না।