আইলিগ না আইএসএল ? দ্বন্দ্ব তুঙ্গে ভারতীয় ফুটবলে। নেতাজি ইন্ডোরে এক হল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। শত্রুতা ভুলে এক টেবিলে দুই প্রধান। অশক্ত শরীরে সেই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন মোহনবাগানের তৎকালীন সচিব অঞ্জন মিত্র। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল না হলে কলকাতায় আইএসএল নয়। তাঁর হুমকিতে কেঁপেছিল ভারতীয় ফুটবল। ফুটবল হাউসের কর্তাদেরও মাথা ঝোঁকাতে হয়েছিল তাঁর এই হুঁশিয়ারির কাছে।
advertisement
২০১৭ সালে বাগান সচিবের সেই হুঁশিয়ারি যেন বাস্তব রূপ পেতে চলেছে আগামী মরশুমে। হয় তো মোহনবাগান আইএসএল খেলবে, কিন্তু তা দেখে যেতে পারলেন না আপাদমস্তক ‘সবুজ মেরুন’ অঞ্জন মিত্র। তাঁর দাপটটাই ছিল শেষ কথা। ছ’পয়সার গ্যালারি থেকে মোহনবাগানকে ভালবাসা শুরু। শুরু ময়দানে নতুন বন্ধুত্বের। একদিকে টুটু বসু। অন্যদিকের নামটা অঞ্জন মিত্র। ফুটবল প্রশাসক হিসেবে কাজ শুরু নব্বই দশকের গোড়ায় অর্থসচিব হয়ে।
টুটু বসু পরবর্তী মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র। এরপর টানা ২৩ বছর। পিকে-চাটুনির জাতীয় লিগ থেকে সঞ্জয় সেনের ফেডারেশন কাপ জয়। ইগর-ব্যারেটো থেকে ওডাফা। বৃত্ত সম্পূর্ণ হয় সচিব অঞ্জনের জমানায়। মোহনবাগান সবার। এই ভাবনা প্রথম দেখিয়েছিলেন ট্যাংরার মিত্র বাড়ির ছেলে। চার্টার্ড অঞ্জনের মস্তিষ্কে প্রথম রূপ পায় কর্পোরেট মোহনবাগান। উত্থান-পতনেই মানুষের জীবন। ২০১৮ সালে মোহনবাগান নির্বাচনে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছিলেন অঞ্জন মিত্র। প্রতিপক্ষ বন্ধু টুটু বসু। সেই প্রথম হয়ত চ্যালেঞ্জ না নিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন বন্ধুত্বকে। নির্বাচনের ঠিক আগে প্রতিপক্ষ হিসেবে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। গতবছরই শেষ হয়েছিল অঞ্জন সাম্রাজ্যের। ৮ নভেম্বর, ২০১৯। বাগানে শেষ অঞ্জন যুগের। ‘নাথিং ইস স্ট্যাটিক’। সব সময় বলতে নেই কথাটা। অঞ্জন থাকবেন না। ময়দান মনে রাখবে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়।