আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের বেড়াজালে এই দেশেই আটকে থেকেছেন বিদেশি ফুটবলাররা। লম্বা অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে অবশেষে। শনিবার গভীর রাতে একসঙ্গে, একই বাসে শহর ছাড়ছেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের বিদেশিরা। ভারতে আটকে থাকা বিদেশিদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলো। ৫ মে রাত ৩টেয় দিল্লি থেকে ছাড়বে লুৎফানসার একটি বিশেষ বিমান। সেই বিমানেই আমস্টারডাম অবধি পৌঁছে যাবেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের কোচ ও বিদেশী ফুটবলাররা। কিন্তু প্রশ্ন ছিল এখানেও! আন্তর্দেশীয় বিমান ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় কিবু ভিকুনা, মারিও রিভেরারা কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছবেন কী ভাবে? বহু দৌড়ঝাপের পর পথ বাতলেছেন মোহনবাগান কর্তারা। মূলত সচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থ সচিব দেবাশিস দত্তর উদ্যোগেই কলকাতা থেকে একটি চাটার্ড বাসে বেইতিয়া, কোলাডোদের একসঙ্গে রওনা করানো হবে দিল্লির উদ্দেশ্যে। প্রশ্ন যখন ঘরের ফেরার, তখন মাঠের রেষারেষি, বৈরিতা সরিয়ে একই বাসে দিল্লি যাবেন দুই প্রধানের কোচ ও বিদেশিরা। পাশাপাশি বসে পাড়ি দেবেন দেড় হাজার কিলোমিটার।
advertisement
কলকাতা থেকে আসানসোল হয়ে ১৩/১৪ ঘণ্টা বাস জার্নি করে দুই প্রধানের বিদেশিরা পৌঁছবেন বেনারস। সেখানেই হোটেলে রাত্রিবাস। পরদিন আবার যাত্রা যাত্রা শুরু। লখনৌ, কানপুর হয়ে দিল্লি পৌঁছতে সময় লাগবে আরো ৮/১০ ঘণ্টা।
সব মিলিয়ে যথেষ্ট ঝক্কির যাত্রা। কিন্তু উপায় নেই। তাই বাড়ি ফিরতে মরিয়া গঞ্জালেজ, যুয়ান মেরারা রাজি হয়েছেন সড়কপথে দিল্লি যাত্রাতেই। দিল্লি থেকে ৫ মে রাত তিনটের উড়ানে আমস্টারডাম। সেখান থেকেই যে যার মত গন্তব্যে ফিরবেন বেইতিয়া, কিবু, মারিওরা। বাগানের আই লিগ জয়ী কোচ কিবু ফিরবেন পোল্যান্ডে। ইস্টবেঙ্গলের মারিও, কোলাডো সহ বেইতিয়ারা ফিরবেন মাদ্রিদে। ইউরোপিয়ানরা ফিরে গেলেও এখনই শহর ছাড়া হচ্ছে না বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার। লাতিন আমেরিকায় ফেরার এখনও কোন ব্যবস্থা হয়ে না ওঠায় আপাতত কলকাতাতেই ঘরবন্দি থাকছেন বিশ্বকাপার জনি। কোস্টারিকার দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাকেও। তবে সেটা এখনও বেশ অনিশ্চিত।
PARADIP GHOSH
