TRENDING:

প্রয়াত পিকে, শূন্যতা ময়দানে, রেখে গেলেন অসংখ্য ইতিহাস-স্মৃতি

Last Updated:

রঙ হারিয়ে ময়দান আজ কাঁদছে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়িতে জন্মেছিলেন প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ফুটবলের হাত ধরে ময়দানে আসার পরই প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বদলে হয় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় বা ময়দানের বড় প্রিয় পিকে দা হয়ে ওঠেন এই ফুটবলের হাত ধরেই ৷ তিনি শুধুমাত্র ফুটবলার বা কোচ নন, তিনি একজন ব্যক্তিত্ব একটা বর্ণময় অধ্যায় ৷
advertisement

খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রা শুরু অবশ্য বাংলা থেকে নয় বিহার থেকে ৷ বাংলায় এসে এরিয়ান ও পরে ইন্ডিয়ান রেলওয়েজের হয়ে খেলেছিলেন তিনি ৷ শুধু ক্লাব ফুটবলই নয় জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন তিনি ৷ জাতীয় দলের জার্সিতে  ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৭ অবধি খেলেছিলেন প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ৮৪টি ম্যাচ খেলে ৬৫ গোল ছিল তাঁর, খেলতেন মূলত স্ট্রাইকার হিসেবে ৷ ১৯৬৪ এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি ৷ এশিয়ান গেমসের ম্যাচে ৪ টি গোল করেছিলেন পিকে ৷ তবে এর আগে ১৯৬০ - এ অলিম্পিক গেমসে ভারতীয় দলের অধিনায়কের সম্মান পেয়েছিলেন তিনি ৷

advertisement

ফুটবলার হিসেবে কলকাতার দুই ঐতিহ্যশালী ক্লাবে খেলা না হলেও কোচিং করিয়ে খ্যাতির শিখরে উঠেছেন পিকে ৷ ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে কোচিং জীবনের শুরু, তবে সবুজ-মেরুন কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য সবচেয়ে বেশি। একই বছরে আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপ, ডুরান্ড কাপ জিতে মোহনবাগানকে ত্রিমুকুট এনে দিয়েছিলে তিনি ৷

জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন ১৯৭২ সালে। তাঁর কোচিংয়েই ভারত ১৯৭২ সালের অলিম্পিক্সের কোয়ালিফাইং ম্যাচ খেলতে শুরু করে।১৯৮৬ পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন তিনি। ১৯৯১-‘৯৭ জামশেদপুরে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির কোচ ছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুন - প্রয়াত পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন (১৯৩৬-২০২০)

ফুটবলার পাশাপাশি কোচ হওয়ার একাধিক স্বীকৃতিও পেয়েছেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ১৯৬১-তে অর্জুন পান, ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি।ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অন্ড স্ট্যাটিক্সের বিচারে বিংশ শতকের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।২০০৪ সালে ফিফার সর্বোচ্চ সম্মান ফিফা অর্ডার অব মেরিট পান পিকে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

তবে এই সামাণ্য শব্দে পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিভা মাপা সম্ভব নয় ৷ সাফল্য-ব্যর্থতা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি এক অনবদ্য ব্যক্তিত্ব ৷ আজ তাই ময়দান বড়ই বিবর্ণ ,বড়ই ব্যক্তিত্বহীণ, বর্ণহীণ ৷

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
প্রয়াত পিকে, শূন্যতা ময়দানে, রেখে গেলেন অসংখ্য ইতিহাস-স্মৃতি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল