এআইএফএফ সূত্রে খবর, নাল এন্ড ভয়েড ঘোষণা করা হবে এবারের আই লিগ। তবে পয়েন্টের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া হবে মোহনবাগানকে। অসমাপ্ত থাকায় এবার বন্ধ থাকবে অবনমন। মোট পুরস্কার মূল্য ভাগ করে দেওয়া হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে। আর এখানেই বেঁধেছে বিতর্ক। ১৬ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে মোহনবাগান। পুরো লিগ খেলা হলেও পয়েন্টের নিরিখে বাকি দলগুলোর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে মোহনবাগান। সেই সূত্র ধরেই মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে ফেডারেশন। মোহনবাগানকে আই লিগ জয়ের
advertisement
জন্য অভিনন্দন জানিয়ে ইতিমধ্যে বার্তা পাঠিয়েছে এএফসিও। আর এখানেই বেঁকে বসেছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের দাবি লিগ বাতিল বা অসমাপ্ত থাকলে সেই লিগে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় কী ভাবে? ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি, ১৬ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে লাল-হলুদ। সেক্ষেত্রে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করা হলে দেবব্রত সরকারের দাবি ইস্টবেঙ্গলকে রানার্স ঘোষণা করুক ফেডারেশন। এই মর্মে ক্লাবের পক্ষ থেকে এআইএফএফ-কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতেই উত্তাল হতে পারে শনিবারের ভিডিও কনফারেন্স।দেবব্রতবাবুর আরো দাবি, "পুরো লিগ খেলা হলে মোহনবাগান দল না নামালে বা শৃঙ্খলা জনিত কারণে মোহনবাগানের পয়েন্ট কাটা গেলে ইস্টবেঙ্গলের সামনেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ খোলা রয়েছে।"এই পরিস্থিতিতে ফেডারেশন মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিলে প্রয়োজনে আইনের পথে হাঁটতে পারে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে মোহনবাগানের দাবি, এএফসি যেখানে তাদের চ্যাম্পিয়ন মেনে নিয়েছে, ফেডারেশন সেখানে এএফসির বার্তাকে মান্যতা দেবে, সেটাই কাঙ্খিত। দেবব্রত সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাগান সচিব সৃঞ্জয় বোসের বক্তব্য, "অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে নিজেদের হাস্যস্পদ করে তুলছে শতবর্ষে পা রাখা পড়শী ক্লাব।"সবমিলিয়ে লকডাউনেও লড়াই জারি লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুনের।
PARADIP GHOSH
