অনেক খুঁজেও সেই ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া গেল না যে কীভাবে সুবিমল গোস্বামী থেকে চুনী নামে তাঁর পরিচিতি এমন সর্বজনবিদিত হয়ে পড়ল। কিন্তু এই নামেই যে তাঁকে চিনত গোটা বিশ্ব। ১৯৪৬ সালে ফুটবলার হিসাবে মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি যোগ দিয়েছিলেন মোহনবাগান জুনিয়র দলে। ১৯৫৪ সালে সেখান থেকেই সিনিয়র দলে এলেন। এরপর টানা ১৪ বছর টানা মোহনবাগানেই খেলেছেন চুনী গোস্বামী। ১৯৫৬ সাল থেকে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে শুরু করেন তিনি তিনি। এরপর ফুটবলার জীবনে প্রায় ৫০টিও বেশি ম্যাচ তিনি দেশের হয়ে খেলেছেন। অধিনায়কত্ব করেচেন ১৬টি ম্যাচে।
advertisement
তাঁর মুকুটে খেতাবও কম নেই। কথায় বলে সেই সময় ভারতীয় ফুটবলের এক অন্য স্বর্ণযুগ ছিল। সেই সময়েই ১৯৬৪ সালে চুনীর নেতৃত্বে এশিয়ান কাপে রানার্স হয় ভারত। ছ’মাস পর মারডেকা কাপেও ফাইনালে যায় ভারতীয় দল। একসময়ে এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকার হয়েছিলেন তিনি। সুর্দশন চুনী গোস্বামীকে সেই সময় এক ডাকে চিনত গোটা ফুটবল বিশ্ব। তিনিই একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার যাঁকে ইংল্যান্ডের ফুটবল দল টটেনহ্যাম খেলার সুযোগ দিতে চেয়েছিল।
আদ্যন্ত মোহনবাগানের প্রাণ চুনী গোস্বামী খেলোয়াড় হিসাবে নন, একজন মেন্টর হিসাবেও অনেক তারকা ফুটবলারের মনে স্থান করে নিয়েছেন। সুব্রত ভট্টাচার্য NEWS18 বাংলাকে জানিয়েছেন, ‘আমাকে মোহনবাগানে সই করিয়েছিলেন চুনী দা। আর বলেছিলেন, কোনওদিন ক্লাব ছাড়বি না। আমি ছাড়িও নি। আমার ফুটবলের জীবনের শুরুই তো ওনার হাত ধরে।
