TRENDING:

‘চুনী’ হীন ভারতীয় ক্রীড়া মহল

Last Updated:

মোহনবাগানে খেলতে খেলতেই ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। ১৯৫৪ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা:"চুনী"হীন ভারতীয় ক্রীড়া জগত। বন্ধু পিকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণের এক মাসের মধ্যেই চলে গেলেন চুনী গোস্বামী। সকালে বলিউডের সুপারস্টার ঋষি কাপুরের প্রয়াণের খবরের রেশ মিটতে না মিটতেই আরও একটি নক্ষত্র পতন। প্রয়াত সুবিমল চুনী গোস্বামী।
advertisement

পোশাকি নাম সুবিমল গোস্বামী। ময়দান-সহ গোটা বিশ্ব চিনত চুনী গোস্বামী হিসেবেই। পায়ে ফুটবল, হাতে বল। একাধিক খেলায় পারদর্শী ছিলেন চুনী গোস্বামী। একদিকে, ফুটবলে দেশের অধিনায়ক হিসেবে এশিয়ান গেমসে সোনা, অন্যদিকে ক্রিকেটে বাংলার অধিনায়ক হিসেবে দলকে নিয়ে যাওয়া রঞ্জি ফাইনালে। এমন অবিশ্বাস্য নজিরের একমাত্র সাক্ষী চুনী গোস্বামী। এরকম বিরল প্রতিভা ভারতীয় খেলাধুলোয় তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রীড়ামহলেও দূরবিন দিয়ে খুঁজতে হবে।

advertisement

জন্ম ১৯৩৮ এর ১৫ জানুয়ারি, অধুনা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। ছোট থেকেই খেলাধুলোর নেশা। আট বছর বয়সে মোহনবাগান জুনিয়র টিমে ফুটবলে হাতেখড়ি। এরপর ১৯৫৪ সালে মোহনবাগানের সিনিয়র টিমে খেলা শুরু। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সবুজ মেরুনকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাগান জার্সিতে রয়েছে ২০০টি গোল। আজীবন খেলেছেন সবুজ মেরুনেই। ১৯৬৮ সালে মোহনবাগান খেলেই অবসর গ্রহণ। তারপর ভারতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন।

advertisement

বাগানে খেলতে খেলতেই ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। ১৯৫৪ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক। ৫০টি-র বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১২টি। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। বাংলার জার্সিতে ২৫টি গোল রয়েছে। ১৯৬৩ সালে অর্জুন পুরস্কার পান। ১৯৮৩ সালে পদ্মশ্রী। ২০০৫ সালে মোহনবাগান রত্ন। চুনী গোস্বামী নেতৃত্বে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ বলা যায়। ১৯৬২ এর এশিয়ান গেমসে সোনা জেতে ভারত। ১৯৬৪-এর এশিয়া কাপে তাঁর নেতৃত্বেই রুপো জয়।

advertisement

বল পায়ে যেমন ভেলকি দেখাতেন। নিমেষে করে চলে যেতেন বিপক্ষ ফুটবলারদের। ক্রিকেট মাঠে একই রকম দাপট দেখিয়েছিলেন চুনী গোস্বামী। ডান হাতে ব্যাট করার পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বল করতেন। ১৯৬২- ৬৩ মরশুমে বাংলার হয়ে রঞ্জি অভিষেক। তার নেতৃত্বে রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলে বাংলা ক্রিকেট দল। ৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী। ১৫৯২ রান। একটি সেঞ্চুরি রয়েছে। সাতটি হাফ সেঞ্চুরি। গড় ২৮.৪২। বল হাতে ৪৭টি উইকেট পান। ২০১১-২০১২ মরশুমে সিএবি থেকে পান লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার।

advertisement

আসলে শুধু ফুটবল কিংবা ক্রিকেট নয়। রাকেট হাতেও টেনিস কোর্ট দাপিয়েছিলেন চুনী গোস্বামী। হকি খেলাতেও তার পারদর্শিতা ছিল। আসলে একজন কমপ্লিট স্পোর্টসম্যান ছিলেন তিনি। সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন। কলকাতার শেরিফের দায়িত্ব সামলেছেন। আসলে যখন যেটাই করেছেন, তাতেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন সুবিমল চুনী গোস্বামী।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
যুবকদের আড্ডাখানায় হাতির হানা! 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' পরিস্থিতি,মুহূর্তে ভাইরাল হল ভিডিও
আরও দেখুন

Eeron Roy Barman

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
‘চুনী’ হীন ভারতীয় ক্রীড়া মহল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল