ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা দুই দেশই দু’বার করে বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পেয়েছে। তবে বিশ্বকাপে একের পর এক নজির- রেকর্ড গড়ে মাইলস্টোনের পর মাইলস্টোন তৈরি করলেও কাঙ্খিত সোনালি ট্রফির ছোঁয়ার সুযোগ পাননি মেসি। সেখানে কেরিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপেই ফ্রান্সের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ১৯ বছরের কিলিয়ান এমবাপে। ফাইনালের আগে ৬ ম্যাচ খেলে ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে একসারিতে মেসি-এমবাপে।
advertisement
তবে গোল করানোর হিসেবে একচুল এগিয়ে মেসি। এলএমটেনের অ্যাসিস্ট যেখানে তিন। এমবাপের অ্যাসিস্ট সংখ্যা ২। তবে অনফিল্ড গোলের সংখ্যায় মেসির থেকে এগিয়ে এমবাপে। মেসির সব বিশ্বকাপ মিলিয়ে গোল সংখ্যা ১১। পাঁচটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মেসির অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৮। অপর দিকে, এমবাপে এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৯টি গোল করেছেন। বিশ্বকাপে ২টি গোল অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ১১৯ মিনিট অন্তর মেসি বিশ্বকাপে নিজের কেরিয়ারে গোল করেছেন। এমবাপে সেখােন ১১২ মিনিট অন্তর গোল করেছেন।
গোলের সুযোগ তৈরির বিচারে মেসির থেকে পিছিয়ে এমবাপে। নিজের সোনায় মোড়া কেরিয়ারে ৫ বিশ্বকাপে মোট ৭২টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন মেসি। এমবাপের ১৩ ম্যাচে গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন মাত্র ২০টি। তবে সব পরিসংখ্যান ছাপিয়ে ২টো তথ্য উঠে আসছে দুই তারকাকে ঘিরে। একটা মেসির পক্ষে। অন্যটা এমবাপের। ২০০১ সালে রোনাল্ডিনহো প্যারিস সাঁ জাঁতে জয়েন করার পর ২০০২ সালে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৭ তে এমবাপে সেই পিএসজিতে সই করার পর ২০১৮ তে ফ্রান্স বিশ্বসেরা হয়। তাহলে কি এবার মেসির পালা? কারণ ২০২১ সালে ফরাসি ক্লাবটিতে সই করেছেন মেসি।
আরও পড়ুনঃ শুধু বিশ্বকাপ জয় নয়, ফাইনালে মেসির সামনে ৭টি রেকর্ড গড়ার হাতছানি
এমবাপের পক্ষে তথ্য বলছে, দুই তারকার ডুয়েলে জয় নেই মেসির। ক্লাব ফুটবলের বর্তমান দুই সতীর্থ অতীতে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল ফ্রান্স। এমবাপের জোড়া গোল ছিল। সেখানে মেসি দুটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। ক্লাব ফুটবলে দৃুবার মেসি-এমবাপে মুখোমুখি হন। ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। মেসি তখন বার্সেলোনায়। ক্যাম্প ন্যুতে প্রথম লেগে পিএসজি ৪-১ গোলে জিতেছিল। হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। ফিরতি লিগে ১-১ ড্র হয় বার্সা-পিএসজির লড়াই। ওই ম্যাচে মেসি ও এমবাপে গোল করেন। তবে এমবাপেকে এখনও হারেতে পারেননি মেসি।
