প্রক্রিয়াটা ভেতর ভেতর অনেক দিন চলছিল। এখনই যে চুক্তি ফাইনাল হয়ে গিয়েছে এমন নয়। কিন্তু শেষ খবর ফাইনাল হওয়া নাকি সময়ের অপেক্ষা। কিছু আর্থিক শর্ত রেখেছে লিওনেল মেসির প্রাক্তন ক্লাব। জুনিয়র ফুটবলারদের বেছে নিতে এবং টেকনিক্যাল দিক উন্নত করার জন্য পাঁচজনের একটি বিশেষ টিম পাঠাবে বার্সেলোনা।
advertisement
বছরে তিনবার তারা ভারতে আসবে মোহনবাগান জুনিয়র ফুটবলারদের ট্রেনিং দিতে। আর দুজন কোচ এবং একজন ফিজিও সারা বছর যুক্ত থাকবে সবুজ মেরুন জুনিয়র ফুটবলার তুলে আনার ক্ষেত্রে। মোহনবাগানের বর্তমান কোচ হুয়ান ফেরান্ডো নিজে বার্সেলোনার মানুষ। ফলে তিনিও বার্সেলোনা মডেলে বিশ্বাসী। আসলে এই পথে যাওয়ার সুবিধা হল কয়েক বছর পর অন্য ক্লাবের ফুটবলার নিতে আর তাকিয়ে বসে থাকতে হবে না।
নিজেদের ফুটবলার তৈরি করা এবং প্রয়োজন হলে তাদের সিনিয়র দলের অংশ করা। সাপ্লাই লাইনের অভাব হবে না মোহনবাগানে। পাশাপাশি একজন ফুটবলার এই মোহনবাগান বার্সেলোনা একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েট হলে তাকে অন্য ক্লাবের কাছে মোটা টাকায় বিক্রি করে নিজেদের ফান্ড বাড়াতে পারবে ক্লাব। মোহনবাগানের কর্তাদের পাশাপাশি ইনভেস্টর এবং সঞ্জীব গোয়েনকা নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ইচ্ছুক বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি করার ব্যাপারে।
মোহনবাগানের জুনিয়র ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম দেশের মধ্যে সেরা হবে এই স্বপ্ন আছে। আর সেটা করতে গেলে মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা যে ক্লাবের জুনিয়র প্রোগ্রাম থেকে উঠে এসেছেন সেই বার্সেলোনার থেকে ভাল টেকনিক্যাল জ্ঞান সম্পন্ন ক্লাব দুনিয়াতে আর কে আছে?
মোহনবাগানের পাশাপাশি বার্সেলোনা নিজেও ইচ্ছুক ভারতে তাদের বিস্তার বাড়াতে। ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগান কত বড় ব্র্যান্ড সেটা জানা আছে ক্যাটালান দৈত্যদের। এর আগে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে বার্সেলোনার অবসর নেওয়া ফুটবলাররা কলকাতায় একটি ম্যাচ খেলে গিয়েছিল।