রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী রবিবার ম্যাচের জন্য ৭০% দর্শক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে সিএবি। ৩০% দর্শক কমে যাওয়ায় অনেকটা টিকিট কমে গিয়েছে। আসন সংখ্যা কমলেও সিএবির লাইফ মেম্বারশিপ এবং ক্লাবগুলির কোটার টিকিটের পরিমাণ কমেনি। সেখানে কোটার ১০০% টিকিটই বন্টন করতে হচ্ছে। ফলে সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন- নিজের ফুটবল দর্শন ধরে রেখেই মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করতে চান কোচ হাবাস
advertisement
অনলাইনে সামান্য কিছু টিকিট বিক্রির জন্য দেওয়া হলেও তা নিমেষের মধ্যে শেষ। সিএবি কর্তারা সবথেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন ক্লাব হাউজের টিকিটের জোগান নিয়ে। মিডল এবং আপার টায়ার নিয়ে ক্লাব হাউজে মোট ৩২০০ আসন রয়েছে। ৭০% দর্শক হওয়ার কারণে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১০০ আসনে। আসন সংখ্যা কমে আসায় বিক্রির জন্য তো দূরঅস্ত, বিজ্ঞাপনদাতা-সহ বিভিন্ন কোটার টিকিটের সংখ্যা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন সিএবি কর্তারা।
সূত্রের খবর, টিকিট বন্টনের সমস্যা সমাধান না করতে পেরে রীতিমতো নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। শুধুমাত্র ক্লাব হাউজে ৭০% থেকে বাড়িয়ে ১০০% দর্শক প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন কর্তারা। মঙ্গলবার নবান্নে গিয়ে সিএস-এর সঙ্গে বৈঠক করেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ও সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও সরকারিভাবে কোনও সম্মতি জানানো হয়নি বলেই খবর।
সিএবি কর্তারা আশাবাদী, ক্লাব হাউজের ক্ষেত্রে ১০০% দর্শক প্রবেশের অনুমতি মিললে টিকিটের কিছুটা চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এদিকে আগামী রবিবার ম্যাচ ঘিরে এক ঝাঁক পরিকল্পনা করেছে সিএবি। লেজার লাইটের মাধ্যমে আলোর প্রদর্শনী থাকছে ইডেনের মূল গেটে এবং মাঠের ভিতর চারটি ব্লকে। শ্রীভূমিতে দুর্গ পুজোর সময় বুর্জ খালিফা প্যান্ডেলে যারা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তারাই ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচের লাইটিংয়ের দায়িত্বে থাকছেন।
আগামী রবিবার ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্যালারি মেরামত থেকে রংয়ের কাজ সম্পূর্ণ। দর্শকাসনে তিনটি চেয়ারের পর একটি করে সিট ছাড়া হচ্ছে যেখানে কেউ বসতে পারবেন না। ক্রস চিহ্ন দিয়ে আসনটি মার্ক করা থাকবে।
আরও পড়ুন- মাইকেল ভনের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের আরোপ সত্য, নিশ্চিত করলেন আদিল রশিদ
এদিকে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকা দুই দলের ক্রিকেটারদের হোটেল থেকে ইডেনে প্রবেশ করানোর জন্য বিশেষ গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করছে সিএবি ৷ ক্রিকেটারদের আশপাশে কোনও ব্যক্তি যাতে ঘেঁষতে না পারেন। বায়ো বাবল যাতে নষ্ট না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হবে প্রতি মুহূর্ত। সব মিলিয়ে সিএবিতে এখন মহা যজ্ঞের আয়োজন। ম্যাচের দিন যত এগোচ্ছে উন্মাদনা ততই বাড়ছে। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টিকিটের চাহিদা।
ঈরণ রায় বর্মন